ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের কালান্দর গ্রামে এক দৃষ্টান্তমূলক লুটপাট ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে, জুমার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সময়ের সুযোগে ১২ জন নামীয় ও আরো ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রামদা, ধারালো দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় বেআইনি জনতা তৈরি করে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযুক্তরা সাইফুল ইসলামের তিনটি ঘর ভেঙে মালামাল লুটে নেয় এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ও টিনের বেড়া কেটে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এছাড়াও একটি পাকাঘর ভেঙে নিয়ে যায়, যার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা বাদীর একটি দুধের গাভি, একটি বকনা বাছুর ও একটি অন্তঃসত্ত্বা গাভি নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার ও ৮০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে আরো পাঁচটি ছাগল, যেগুলোর মধ্যে একটি অন্তঃসত্ত্বা ছাগলও ছিল, এবং দুটি সাইকেল লুটে নেওয়া হয়।
বাদী জানায়, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে গরু-ছাগল উদ্ধারের চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা তাকে মারধরের চেষ্টা চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। সাক্ষী হিসেবে স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর নামও এজাহারে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী রিপন মিয়া বলেন চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে আমি ঘটনাস্থলে আসি, তখন দেখি বাড়িঘরে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। গোয়ালঘর থেকে গরু নেওয়ার সময় আমি বাধা দিতে চাইলে আমাকে রামদা দিয়ে দৌড়ানি দেয়।
গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি মানিক ভূইয়া জানান, আমি ঘটনা শুনি যখন ঘটনাটি হয় তখন জুমার নামাজের সময় ছিল, সবাই নামাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল তখন ঘটনাটি ঘটে, বিবাদী মো. কামাল গরু নিয়ে যাওয়ার কথা আমার কাছে স্বীকার করেন, মামলা তুলে নিলে গরু ফেরত দেওয়ার কথা জানায়।
বাদী মো. সাইফুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা তার পরিবারকে হুমকি দিয়েছে এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল রহমান বলেন, লিখিত এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএস