শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫,
৭ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: ফের পিএস বিতর্কে আসিফ      ভাগ পেতেন ডিসি-এসপিরাও      রাজস্ব খাতের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞরাই      ইতা‌লির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকা সফর বাতিল      সাগর-রুনির পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হলো রাজউকের প্লট      মহানবী (সা.) এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল: ধর্ম উপদেষ্টা       নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য জরুরি      
জীবনানন্দ
ছত্রিশরেখায়
এমরান কবির
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৬ পিএম

কিছুক্ষণের মধ্যেই কারফিউ শুরু হবে। তার আগেই বাসায় ফেরা দরকার। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। খুব জরুরি কয়েকটি জিনিশ কেনার জন্য বের হয়েছিলাম। বাহিরের অবস্থা কেমন তা জানাও একটা উদ্দেশ্য ছিল।

বাসার কাছেই অফিস। তাই সেখানে ঢুকলাম প্রথমে। অবস্থা বুঝে বাজারে যাব। না-যেতে পারলে বাসায় ফিরে আসব। হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হয়েছি।

পিয়ন বলল, ‘স্যার, কিছু কেনাকাটা থাকলে তাড়াতাড়ি করে ফেলেন। সময় কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। যা অবস্থা!’

আমি বললাম, ‘কেন, যথেষ্ট সময় আছে। কারফিউ শুরু হওয়ার আগে অনায়াসে হয়ে যাবে।’  পিয়ন কাঁচুমাচু হয়ে বলল, ‘স্যার, তবুও। কারণ বাইরের অবস্থা খুব খারাপ।’

তার কথা আর অভিব্যক্তিতে যথেষ্ট বিনয় ছিল। তারও অধিক ছিল দৃঢ়তা। আমাকে পরিস্থিতির গুরুত্ব ঠিকঠাক বুঝাতে না পারার অক্ষমতাও ছিল। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলল, তার এই কথার গুরুত্ব দিতে হবে। তখনই বের হলাম বাজারের উদ্দেশ্যে।

ভাবলাম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে অফিসে রাখব। কারফিউ শুরু হওয়ার আগে বাসায় ফিরলেই হলো। অফিস থেকে বাসায় ফিরতে হেঁটে হেঁটে পাঁচ-ছয় মিনিটের বেশি লাগে না।

বাজারে গিয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড। মাত্র কয়েকটি দোকান খোলা কিন্তু কয়েকশত মানুষ। জিনিশপত্র কেনাই দুরূহ। দোকানি আর তার সহকারীরা জিনিসপত্র দিয়ে হুঁশ পাচ্ছে না। কোনো দামদর নেই। খালি জিনিশের নাম বলছে আর বিক্রয়কর্মী দিয়ে দিচ্ছে। দাম যা বলছে তাই। কোনো মুলোমুলি নেই।

চারটা দোকান খোলা দেখেছিলাম। আমি পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করা শুরু করেছি। একটা দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে গেছি। একটা বিকট শব্দ হলো কোথাও। একজন বলল স্টেশন রোডে সংঘর্ষ চলছে।

একটা দোকানের অপেক্ষমাণ ক্রেতারা লাইন ভেঙ্গে অন্য দোকানের লাইনে যুক্ত হলো। একজন বলল, ‘ওই দোকান বন্ধ করল।’

লাইনে দাঁড়ানো আরেকজন বলল, ‘কেন?’

আরেকজন বলল, ‘একটা ফোন এলো দোকানের মালিকের কাছে। অমনি তিনি কাঁপতে লাগলেন। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী হয়েছে। দোকান বন্ধ করতে করতে ওই দোকানের বিক্রয়কর্মী বলল মালিকের পোলার চোখে গুলি লাগছে।’

আরেকজন লোক এসে যুক্ত হলো আমাদের লাইনে। বলল, ‘না ভাই চোখে না, গুলি লাগছে বুকে।’

অন্যজন বলল, ‘ইশ, চোখে লাগাটাই ভালো ছিল। বুকে লাগা তো খারাপ।’

অন্য আরেকজন বলল, ‘এটা কেমন কথা ভাই, চোখে লাগা ভালো। বুকে লাগা খারাপ। চোখের দাম নাই না কি?’

আগেরজন তখন বলল, ‘ভাই, আমি তো সেটা বলতে চাইনি। চোখে লাগলে তো বাঁচার চান্স আছে। বুকে লাগলে তো মৃত্যুর ঝুঁকি।’

অন্য আরেকজন বলল, ‘ভাই, এটাই বা কেমন কথা। চোখ ছাড়া বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার পার্থক্য কী?’

এর মধ্যে আরো কয়েকজন এসে লাইনে যোগ দিল। তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, ‘লোকটা অজ্ঞান হয়ে গেল। স্ট্রোক করল কি না। খবর এসেছে তার ছেলেটা মারা গেছে।’

বাজারের এই হই চইয়ের মধ্যেও তার কথা যাদের কানে গেলো সবাই চুপ হয়ে গেল। এই উদগ্র কোলাহলের ভেতরেও এক বিষাক্ত নীরবতা নেমে এলো সবার ভেতরে। সবার মুখ অন্ধকার হয়ে গেলো। ওই ঝকঝকে রোদের আলোর মধ্যেও অন্ধকার আড়াল করা গেল না। কেউ কোনো কথা খুঁজে পেলো না।

তবুও উদগ্র কোলাহলের ভেতরে এই নীরবতার কথা কেউ টেরও পেলো না যেন। অনেক কোলাহলের ভেতরে ক্ষুব্ধ নীরবতার মূল্য থাকে না মনে হয়। এই নীরবতার কথা কেউ জানলোও না। জানবেও না বলে মনে হয়। আরো তীব্র কোলাহল এসে এই নীরবতাকে ঢেকে দেবে একসময়।

‘কেউ একজন বলল, ‘এখন লাশটা পেলেই বাবার ভাগ্য।’

অন্যজন বলল, ‘কেন লাশ দিচ্ছে না?’

আরেকজন বলল, ‘কেমন কথা বলেন ভাই? ছেলের লাশ দেখা বাবার জন্য ভাগ্য? আপনার মাথা ঠিক আছে?’

সবাই দেখি লোকটার ওপর ক্ষুব্ধ। তিনি খুব অপ্রস্তুত হলেন। বললেন, ‘যেখানে নিহতের লাশ দিচ্ছে না সেখানে লাশ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার না? ’ তার কথা কারো কানে গেল বলে মনে হলো না।

একজন উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, ‘মারবে আবার লাশও দেবে না? এটা কেমন অবিচার?’

একজন বলল, ‘ভাই কোনটা অবিচার? মেরে লাশ বানানো? নাকি মারার পর লাশ ফেরত না-দেওয়া?’


আরেকজন একটা জোরে হাসি দিয়ে বলল, ‘ভাই। আপনি দেখি বিচার অবিচার নিয়ে পড়ে আছেন।’

আরেকজন বলল, ‘কেন। বিচার অবিচার নিয়ে কথা বলা যাবে না?’

আরেকটা বিকট শব্দ হলো কোথাও। ধোঁয়া উড়তে দেখা গেল। আমরা সবাই কুণ্ডলী পাকিয়ে উপরে উঠতে থাকা ধূসর ধোঁয়ার দিকে  নির্বাক তাকিয়ে থাকলাম।

পকেট থেকে ফোন বের করে বউকে ফোন দিই। কল ঢোকে না। কয়েকবার ট্রাই করার পর ফোন ঢুকল। ওপাশ থেকে বউয়ের উদ্বিগ্ন কণ্ঠ, ‘কী ব্যাপার তোমাকে কতক্ষণ ধরে ট্রাই করছি! ফোন ঢুকছে না। তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরো।’

আমি বললাম, ‘এখানে খুব ভিড়। একটু সময় লাগবে। কারণ মাত্র কয়েকটা দোকান খোলা।’ কথার মাঝে দোকানির ছেলের মৃত্যুর কথা বললাম।

ওপাশ থেকে বউয়ের দীর্ঘনিশ্বাস পড়ার শব্দ পাওয়া গেল কিনা বোঝা গেল না।

কিছু অতিপ্রয়োজনীয় জিনিশপত্র নিয়ে অফিসে যাচ্ছি। আরেকটু সময় আছে হাতে। সময়মতো বাসায় ফিরলেই হলো। সময়মতো মানে কারফিউ শুরু হওয়ার আগে আগে আরকি। বাসায় ঢুকলে তো কোনো খবর পাওয়ার সুযোগ নেই। ইন্টারনেট বন্ধ। টিভি থেকে প্রকৃত সংবাদ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ সবগুলো টিভি চ্যানেল সরকারি টিভি বিটিভি হয়ে গেছে।

বাহিরে এসে তাই অফিসে এসেছি প্রথমে। প্রয়োজনীয় জিনিশপত্র কিনে আবারো এসেছি অফিসে। সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে অনেক খবর থাকে। আর কিছুক্ষণ সময় তো হাতে আছেই।

বউ আবার ফোন দিল, ‘জানো ইলেকট্রিক মিটারে টাকা ভরাতে হবে। একশত টাকারও কম আছে। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে যা গরম! এসি ছাড়া তো থাকাই মুশকিল।’

এ কথা শুনে আমার মাথা ঘুরতে লাগল। কারণ মিটার রিচার্জ করি বিকাশের মাধ্যমে। ইন্টারনেট না থাকার জন্য বিকাশও বন্ধ। কোনো দোকানপাট খোলা নেই।

আমার সমস্যার কথা শুনে একজন সিকিউরিটি গার্ড বলল, ‘স্যার মুন্সিপাড়ার ঢাকা ব্যাংকের অপোজিটে একটা দোকান আছে। সেখান থেকে রকেটের মাধ্যমে মিটার রিচার্জ করা যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি যান।’

আমি ব্যাগটা রেখে সেখানে গেলাম। দোকান বন্ধ। কয়েক দোকান পরে কয়েকজনের জটলা। আমি তাদেরকে বললাম। ওরা একটা ফোন নাম্বার দিল। বলল একটু রিকোয়েস্ট করেন। এক্ষুনি ওপরে চলে গেল।

আরেকজন বলল, ‘ভাই টাকা শেষ। মনে হয় দিতে পারবে না।’

আমি ওই লোকটার দেওয়া ফোন নাম্বারে কয়েকবার ট্রাই করলাম। নাম্বার বিজি। ওয়েটিং। এরপর রিং হয়, কিন্তু রিসিভ হয় না। আমি ট্রাই করেই যাচ্ছি। একবার ফোন ধরল, আমি অনুনয় বিনয়ের সাথে সমস্যার কথা বলে তার সহযোগিতা চাইলাম। তিনি শুনলেন। কিছু বললেন না। ফোন কেটে দিলেন। দ্বিধান্বিত আমি আবার ফোন দিলাম। ফোন বন্ধ।

জটলার লোকজন সবই দেখছিল। ওরা যে যার মতো চলে যেতে থাকল। একজন বলল, ‘ভাই সময় কিন্তু বেশি নেই। তাড়াতাড়ি ফেরেন।’

আমি বললাম, ‘কিন্তু আমার এই কাজটা খুব জরুরি।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে ভাই নিমতলার ওইদিকে যান। ওখানে একটা দোকানে পেতে পারেন।’

কোনো অটোরিকশা নেই। আমি হাঁটা ধরলাম। এদিকে ভয়াবহ রোদ আর ভ্যাপসা গরম। অফিসে-বাসায় এসি রুমে থাকার অভ্যাসের কারণে সামান্য রোদ আর গরমও অসহ্য লাগে। এদিকে বের হয়েছি অনেকক্ষণ আগে। রোদের ভেতর ছোটাছুটি করছি। মানসিক চাপ তো আছেই। আমার অবস্থা রীতিমতো কাহিল। কিন্তু উপায় নেই।
 
কিছুক্ষণ হাঁটার পর দেখলাম পুলিশের টহল। যুদ্ধংদেহি ভাব। আমাকে লাঠি দিয়ে ইশারা করল ফিরে যেতে। আমি আমার সমস্যার কথা বলতে যাব তখনই লাঠি উঁচিয়ে মারার ভঙ্গি করল।

উল্টোদিকে রাস্তায় ফিরে কিছুদূর এসে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। রোদের তীব্রতা মনে হয় আরো বেড়েছে। ঘেমে একাকার। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে একটু একটু। এখনো মিটারে টাকা তুলতে পারিনি। বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে এই গরমে! বিদ্যুৎ থাকলেও এই গরমে ফ্যানের বাতাস আমার জন্য বা আমার শিশু সন্তানের জন্য যথেষ্ট নয়। ঘরে শিশু সন্তান। এদিকে কারফিউ শুরু হওয়ার বেশি দেরি নেই।

এরই মধ্যে সিকিউরিটি গার্ড ফোন করল, ‘স্যার পেয়েছেন?’

‘না।’

‘তাহলে স্যার নেসকো অফিসে যান। সেখানে কাজ হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি স্যার। কারফিউ টাইমে বাইরে একেবারেই থাকবেন না। বালুয়াডাঙ্গায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। সংঘর্ষ লিলির মোড়ে এলে আপনি তো এদিক দিয়ে বাসাতেও ফিরতে পারবেন না। খুব সমস্যায় পড়ে যাবেন স্যার।’

আমি অগত্যা হাঁটা ধরলাম। যদিও জানতাম  হেঁঁটে হেঁটে এই সময়ের মধ্যে কাজ সেরে বাসায় ফেরা সম্ভব নয়। তবুও । কারণ আমার এ ছাড়া কোনো উপায়ও ছিল না।

ভাগ্যক্রমে একটা অটোরিকশা পেলাম। কিন্তু রাজি হয় না। অনেক অনুরোধের পর রাজি হলো দ্বিগুণ দামে।

নেসকো অফিসে গিয়ে তাদেরকে বললাম। একজন বলল, ‘ভাই কারেন্ট না থাকলে তো আমাদেরকে হেনস্তা করেন, মারধর করেন। এখন?’

আরেকজন বলল, ‘ভাই হবে না। বের হয়ে যান। ঝামেলা পাকায়েন না।’

আমি বের হয়ে এলাম ঘর থেকে। বারান্দায় দাঁড়ালাম। কেউ একজন এসে দরজা লাগিয়ে দিল। বউ ফোন দিচ্ছে। ‘এতক্ষণ লাগছে কেন? তাড়াতাড়ি রিচার্জ করে ফিরতে সমস্যা কোথায়! বাহিরে বের হয়েই গল্প জুড়িয়ে দিয়েছো। না?’ একটা হুংকার দিয়ে বউ ফোন রেখে দিল।

বিধ্বস্ত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে থাকি। অটোরিকশা ওয়ালা বলে, ‘ভাই কেমন মানুষ আপনি। কারফিউ শুরু হয়ে গেলো এখন যাবেন কীভাবে?’

আমি বলি, ‘চলুন, আমি আমার সমস্যার কথা বলব। আশা করি পুলিশ বুঝবে।’

রিকশাওয়ালা আমার দিকে একটা ভস্মদৃষ্টি দিয়ে রিকশা স্টার্ট দিল। আমি তড়িঘড়ি করে উঠতে গিয়ে রিকশা সাথে মাথার প্রচণ্ডভাবে বাড়ি খেলাম। মাথা চেপে কোনোরকম সিটে বসি। ফাঁকা রাস্তায় খুব জোরে অটোরিকশা চলতে থাকে।

বুটি বাবুর মোড়ে এসে পুলিশ অটোরিকশা আটকে দিল। রিকসাওয়লার পাছায় লাঠি দিয়ে একটা বাড়ি দিল। আমাকে টেনে হিঁচড়ে নামালো। পিঠে একটা বাড়ি দিয়ে বলল, ‘হুইপের বাড়িতে বোমা মারলি কেন? ওই হালার পুত ক, কে তোরো এই কাম করবার কইচে। ওই বাইনচোত সত্যি কইরা কতা ক।’

আমি তার দিকে বিস্ময়-বিষ্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকাই। আমি একটা ব্যাংকে জব করি। শাখা পর্যায়ের শীর্ষ পদে আছি। খুব নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করি। এরকম গালি এই জীবনে কেউ আমাকে দেবে তা ভাবিনি। জীবনে ভালোমতো একটা পটকাও ফোটাতে পারি না। আর আমি কি-না হুইপের বাড়িতে বোমা মেরেছি!

এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।

পরিশিষ্ট : পরদিন হয়ত সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছিল হুইপের বাড়িতে বোমা মারা সন্ত্রাসী গ্রেফতার। তারপর হয়ত খবর এসেছে অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে সন্ত্রাসীদের সাথে ক্রস ফায়ারে নিহত। অথবা কোনো খবরই আসেনি।
 
আমি অথবা লোকটা হয়তবা জানে না যে সে বেঁচে নেই। হয়ত কোথাও আছে। হয়ত কোথাও নেই। হয়ত মরে গেছে। অথবা যায়নি।  

তবে সে বেঁচে আছে- বাবা মা স্ত্রী ও সন্তানের অপেক্ষার মধ্যে। আর ত্রিশ দিনের একটি মাস ছত্রিশ দিনে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ার মধ্যে।

কেকে/এএম
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ফের পিএস বিতর্কে আসিফ
ভাগ পেতেন ডিসি-এসপিরাও
রাজস্ব খাতের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞরাই
কুমিল্লায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

মদনে স্ত্রীর নির্যাতন মামলায় সাবেক কমিশনার গ্রেফতার
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৃষি সংস্কার ও খাদ্য নিরাপত্তার অভিযাত্রা
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে আলু ব্যবসায়ীর মৃত্যু
জামালপুরে পূবালী ব্যাংকের সহযোগিতায় আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
‘আমি সিক্স পার্সেন্টে কাজ করেছি’, উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির অডিও ফাঁস
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close