একজন চিকিৎসকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রোগীকে সম্মান করা। কোনোরূপ তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা। বন্ধুসুলভ আচরণ করা। একজন চিকিৎসককে স্বভাবতই সৎ, নিঃস্বার্থ, অঙ্গীকারবদ্ধ, দেশপ্রেমিক, দায়িত্বশীল ও দয়ালু হতে হয়। রোগীকে মানবিক মন নিয়ে সেবা করে তার দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে পারেন। এমনই একজন সদালাপী, মানবিক চিকিৎসক কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট এবং মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মিজানুর রহমান রনি। তার আন্তরিকতা আর আলাপনেই রোগী অনেকটা নির্ভরতা খুঁজে পান। সুস্থ হয়ে ওঠার মনোবল ফিরে পান। তিনি রোগীকে আপন করে নিতে পারেন। শুধু রোগী নয়, মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অমোঘ শক্তি রয়েছে তার, যা সবাইকে মুগ্ধ করে।
ডা. মিজানুর রহমান রনি একজন সক্রিয় চিন্তার মানুষ, মার্কিন চিন্তাবিদ-লেখক, প্রকৃতিপ্রেমী ওয়াল্ডো এমার্সনের ভাষায় (Man thinking)। এই সক্রিয় চিন্তার মানুষ তার আবেগকে রাখেন বুদ্ধির শাসনে, ইতিহাস ও সময়কে দেখেন বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিতে, সংকটে-সন্তাপে থাকেন স্থিরচিত্ত। এই মানুষের কাছে মানবিকতা আর সামাজিক অংশগ্রহণ গুরুত্ব পায়। সক্রিয় চিন্তার মানুষ অতীতকে আবিষ্কার করেন বইয়ের মধ্য দিয়ে, গবেষণার মধ্য দিয়ে; প্রকৃতিকে কল্পনা করেন মানসগঠনের পেছনে বড় একটি প্রভাব হিসেবে এবং সংস্কৃতির শক্তিতে পেতে চান তার সব শুদ্ধতা নিয়ে। এসবই আমরা তার ভেতর দেখতে পাই।
ডা. মিজানুর রহমান রনি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রখর মেধাবী ও মানবপ্রেমী। মানবসেবা করার উদ্দেশ্যেই চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেছেন। ডা. মিজানুর রহমান(রনি)
ডা. মিজানুর রহমান (রনি) ছাত্রজীবন থেকেই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। মানবিক গুণাবলি থেকে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু ফ্রি চিকিৎসা দিয়েই নয়, সমাজের অসচ্ছল মানুষের জন্য তিনি নানা সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, বাড়াচ্ছেন।
ডা. মিজানুর রহমান রনি কখনো সংকীর্ণমনাকে প্রশ্রয় দেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, ‘আমরা সবাই মানুষ, মানুষ হয়ে মানুষের ধর্ম মানবতা আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিত। যেখানে হিংসা, বিদ্বেষ ও হিংস্রতা থাকবে না। থাকবে না পরচর্চা, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা। থাকবে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ ও দায়িত্ববোধ।
এছাড়া ‘স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন নিয়ে শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে পড়েন ও লেখেন। এ অভ্যাস তার ছাত্রজীবন থেকেই। রনির মায়ের প্রতি রয়েছে অনিঃশ্বেস ভালোবাসা। মা-ই তার সততা ও আদর্শের বাতিঘর।
মার্জিত এই মানুষটি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংসারের দায়িত্ব থেকে নিজেকে দূরে রাখেননি।
কেকে/এজে