দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে উল্লেখ করে বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেছেন, দুই দশক আগেও প্রতি ১০টি মৃত্যুর মধ্যে ৭টি হতো সংক্রামক রোগে। এখন পরিস্থিতি উলটে গেছে—প্রতি ১০টি মৃত্যুর মধ্যে ৭টি হচ্ছে অসংক্রামক রোগে, যেমন হেপাটাইটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসে। এর মধ্যে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার (২০ মে) বাগেরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘এনসিডি কর্নারের সেবার মান উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন’ বিষয়ক তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি ১০ লাখ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। বাংলাদেশেও অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, এমনকি অন্ধত্ব পর্যন্ত দেখা দিচ্ছে। এখন শিশুরাও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগ প্রতিরোধে আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, সুষম খাদ্য গ্রহণ ও সচেতনতা জরুরি।
ডা. হাবিবুর রহমান জানান, অসংক্রামক রোগ শনাক্ত ও সেবা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিটি উপজেলায় ‘এনসিডি কর্নার’ চালু করেছে। এসব কর্নার থেকে রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের রোগীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন—ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের উপপরিচালক ডা. শামীম জুবায়ের, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসান মাহমুদ, চিতলমারীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়, ফকিরহাটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আছাদুজ্জামান সাগর, বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার এহসানুল আমিন ইমন, সার্ভেইল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা. উদীত প্রয়াস শিকদার প্রমুখ।
এ ছাড়া তিন দিনের এ প্রশিক্ষণে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, নার্স, উপসহকারী কম্যুনিটি মেডিকেল অফিসার, স্টোরকিপার ও পরিসংখ্যানবিদগণ অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সমাপনী অণুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কর্মশালা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।সরকার কর্তৃক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করা এনসিডি কর্নার থেকে রোগীদের বিনামূল্যে অসংক্রামক রোগ নির্ণয় ও ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে।
কেকে/এএম