আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ফরিদপুরের সালথায় প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানির পশু। দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে পশু মোটাতাজাকরণ। এবার চাহিদা মতো সাড়ে ৩ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বিভিন্ন এলাকার খামারিরা ও বিভিন্ন কৃষি পরিবার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করছেন কোরবানির জন্য।
জানা গেছে, এবছর উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ২০০ টি গরু ও ছাগল। সেখানে ৩ হাজার ৬৩২টি গরু ও ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। এরমধ্যে গরু ১ হাজার ৭শ ৫৫টি ও ছাগল ১ হাজার ৮শ ৭৭টি।
উপজেলার ৭শ ৪৯ জন খামারী ও গাইরেস্ত পশু প্রস্তুত করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির জন্য গরু বেড়েছে, আর ছাগল কমেছে।
উপজেলার রায়েরচর গ্রামের গরু খামারি সাহাদৎ হোসেন বলেন, পাঁচ বছর ধরে কাচা ঘাসসহ ন্যাচারাল খাদ্য খাইয়ে গরু লালন পালন করে আসছি। এ বছর ৬/৭ ষাড় গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করা হবে। গরু পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। আশা করি লাভবান হবো।
সাধুহাটি গ্রামের গরুর খামারি আকরাম হোসেন বলেন, গরু লালন-পালন অবশ্যই লাভজনক। তবে এবছর গো-খাদ্যের দাম বেশি। তাই লাভ কম হবে। আমি ৪/৫ টি ষাড় বিক্রি করবো কোরবানিতে।
সালথা গ্রামের এহসান চৌধুরী নামে আরেক খামারী জানান, গত বছরের তুলনায় এবার খামারে গরু তৈরি করতে খরচ অনেক বেশি। তারপরও কোরবানির ঈদে গরুর দাম ভালো পাওয়ার আশায় খামারিরা গরু প্রস্তুত করছে। ষাড় গরু যা আছে বিক্রি করে দিয়ে নতুন করে বাছুর এনে পালন করা হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, এবছর কোরবানিতে পশু চাহিদার থেকে বেশি পশু প্রস্তুত আছে। গরু ও ছাগলগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালন হয়েছে। আমরা গরু-ছাগলের খামারসহ গাইরস্তদের পশুগুলোর প্রতি খোঁজখবর নিচ্ছি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমরা হাটগুলোতেও পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, এবছর কোনবানিতে পশুর হাটগুলোতে প্রশাসনের কড়া নজরদারী থাকবে। যাতে করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কোন অসুবিধা না হয়। কয়েকদিন পর থেকেই পশুর হাটে শুরু হবে বেচা-কেনা।
কেকে/ এমএস