কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহের পর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকাসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়িসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
রোববার (১১ মে) বিকাল থেকে হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হয়। আর এই ঝড়ো বৃষ্টির ফলে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। বিকাল থেকেই ঝড়ের পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে বিকালে সরেজমিনে তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব পাথর শ্রমিক আব্দুল বাসেদ নামে এক বৃ্দ্ধের ঘর ভেঙে পড়ে গেছে। বসবাসের একমাত্র ঘরটি ভেঙে পড়ে যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল বাসেদের একমাত্র সহায়-সম্বল ছিল এই ঝুপড়ি ঘরটি। এই ঘরে তিনি বসবাস করতেন। সেই ঘরটি এখন কালবৈশাখীর ঝড়ে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আব্দুল বাসেদ বলেন, আমার থাকার একমাত্র ঘরটি হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গেছে। এখন কী হবে, কই যাব? কোথায় থাকব জানি না। সব শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে পঞ্চগড়ের কয়েকটি উপজেলাতেও বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে কোথাও গাছপালা কোথাও ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েক দিনের গরমের পর স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে জনমনে। সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে প্রশান্তির কথা।
তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী জানান, হঠাৎ ঝড় বৃষ্টিতে আব্দুল বাসেদের বসতঘরটি ভেঙে গেছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আপাতত ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খাওয়া দাওয়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) আফরোজ শাহীন খসরু জানান, আমার জায়গা থেকে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
কেকে/এএম