ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ প্রাণ গেছে ৫ জনের। সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে ঢাকায় রওনা দেওয়া মাওলানা বিল্লাল ফকির সপরিবারে প্রাণ হারিয়েছেন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রোজিনা আক্তার, যিনি পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
নিহতরা হলেন— মাওলানা বিল্লাল ফকির, তার বাবা সামাদ ফকির, মা সাহেদা বেগম, ছোট বোন আফসানা আক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব সরদার।
দুর্ঘটনার পর এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর দুধখালী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে বিল্লাল ফকির অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। মুন্সিগঞ্জের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে গেলে চালক মাহবুব সরদার গাড়ি থামিয়ে চাকা পরিবর্তন করছিলেন। ঠিক তখনই কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ‘গোল্ডেন লাইন’ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাঁচজন।
ঘটনার পর গুরুতর আহত রোজিনাকে দ্রুত ঢাকার ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যায় সফল সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম হয় এক পুত্র সন্তানের। কিন্তু জন্মের আগেই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন তার পিতা।
নিহত বিল্লাল ফকিরের ফুফাতো ভাই মাওলানা গোলাম রহমান বলেন, এক সঙ্গে পাঁচটি প্রাণ গেল। প্রিয়জনদের হারিয়ে আমরা দিশেহারা। দায়ী বাসচালকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই, যেন আর কোনো পরিবার এভাবে নিঃস্ব না হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে থাকব এবং যথাসম্ভব সহযোগিতা করব।
কেকে/এএম