রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বর্বর রাজনীতি শুরু হয় কিনা। কখন কার রগ কেটে দেওয়া হয়, কখন গুপ্তচরের মতো পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
রোববার (৪ মে) সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিত হামলাকারী, জুলাই-আগস্টের হত্যাকান্ডে মদদদাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিটি দুপুর দেড়টার দিকে শাখা ছাত্রদলের দলীয় টেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের পেছন থেকে একটি মিছিলের মাধ্যমে শুরু করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনে সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী আরো বলেন, বিগত কিছুদিন আগে আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাপবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন পোড়ানো হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ভবনের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে জিম্মি করে তার বাসভবনের তালা মেরে সহিংস রাজনীতির হুমকি-ধামকি যারা দিয়েছে, (তাদের ভয়ে) আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে আছে, বর্বর রাজনীতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আবার শুরু হয় কিনা। কখন কার রগ কেটে দেওয়া হয়, কখন গুপ্তচরের মতো পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, অতীতে যেভাবে বোমার রাজনীতি করেছে, অতীতে যেভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে, আহত করা হয়েছে— সেই ধরনের বর্বর রাজনীতির পায়তারা আমরা অনুভব করছি৷ এইসবের প্রতিবাদে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাবি শাখা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহ্বায়ক রাশেদ আলী, সর্দার জহুরুল, মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, সাকিলুর রহমান সোহাগ, মাহমুদুল মিঠু প্রমুখ।
কেকে/এএম