জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়া ও বাজারে ভুট্টার দর ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা। কম খরচ ও কম সময় লাগে, অথচ লাভ বেশি— এ কারণে দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের।
কালাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪–২৫ মৌসুমে উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনও হয়েছে ভালো। এ বছর ১৫০ জন কৃষককে ভুট্টা চাষে প্রণোদনা হিসেবে ২ কেজি করে বীজ ও প্রয়োজনীয় সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ভুট্টা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ধান ও সরিষার পাশাপাশি এখন অনেকেই ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন। কৃষকদের ভাষ্যমতে, ভুট্টা দিয়ে মানুষের খাবার ছাড়াও গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার তৈরি হয়, তাই এর বাজার চাহিদাও প্রচুর। অনেকে জ্বালানি হিসেবেও ভুট্টা ব্যবহার করেন।
আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হারুন্জা গ্রামের কৃষক মোজাফফর রহমান বলেন, গত বছর অল্প জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফল পেয়েছি। এবার এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। গরু ও মাছের খাবার হিসেবে আমাদের এলাকায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
কালাই পৌরসভার কৃষক আব্দুল মমিন জানান, কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা পেয়ে এক বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। গাছে ফুল ও ফল ধরেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে ভুট্টা তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
মাত্রাই ইউনিয়নের কাঁটাহার গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর মণ্ডল বলেন, বোরো ধানের তুলনায় ভুট্টায় লাভ বেশি। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১০–১২ হাজার টাকা। ফলে ৩৫–৪০ মণ পর্যন্ত ভুট্টা পাওয়া যায়। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ভুট্টা ১২০০–১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি এবং আগামীতে চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছি।
কেকে/এএম