প্রকাশ: রোববার, ৪ মে, ২০২৫, ৭:১১ পিএম (ভিজিটর : ৩১৯)
ছবি: খোলা কাগজ
ফসলি জমির টপসয়েল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরিবেশ আইন অমান্য করে রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা হচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি। জমিগুলো একের পর এক ডোবানালা ও বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। এতে যেমন জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সংলগ্ন ভেলানগরে ও ফরদাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ফসলী কৃষি জমিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি জমি কেটে ডোবায় পরিণত করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে আশপাশের জমিও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে এই মাটিগুলো। বিভিন্ন জায়গায় এ মাটিগুলো বিক্রি করছে বলে খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা বলেন, এসব মাটি রাতের আঁধারে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকু ও এস্কেভেটর দিয়ে ফসলি জমির উপরের অংশ ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা ভরাট কাজে। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। তৈরি হয়েছে ডোবা। সেই ডোবা থেকে ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়তে পারে। মাঁটি কাটা বন্ধ না হলে একসময় ওই এলাকা থেকে কৃষি জমি হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
ছবি: খোলা কাগজ
ভেলানগর গ্রামের বাছির উদ্দিন, খাজা মিয়া, রহিম মিয়াসহ ১৩ জন আজ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে বলেন, একটি জমির বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি কাটার ফলে বড় বড় গর্ত ও পুকুর তৈরি হয়েছে। রাতে ট্রাকে করে মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে সড়ক নষ্ট হচ্ছে। কখন আমাদের কৃষি জমির মাটি চুরি হয়ে যায় সে আতঙ্কে রয়েছি।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ফসলি জমির উপরিভাগের ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান চলে যায়। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলি জমির মাটি কাঁটা তাই বেআইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, ব্যক্তিগত জমি থেকে মাটি কাটার অনুমতি নেই। কেউ কেটে থাকলে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।