সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়েছে ডোমার। এরই অংশ হিসেবে আজ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ।
রোববার (৪ মে) দুপুর ১২ ঘটিকায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় খেকে তুহিনের মুক্তির দাবিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু ও সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডোমার রেলগেট মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করে বিএনপি নেতা তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন আমিন সুমনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর সভাপতিত্বে এ সময় উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইফতেখারুল আলম তিতুমীর, পৌর যুবদল সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম পাপ্পু, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব লোকমান হোসেন লাভলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরানুল হক, জাসাস আহ্বায়ক মুকুল সওদাগড়, কৃষক দলের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন হিরো ও জিয়া পরিষদ আহ্বায়ক তমিজ উদ্দিন এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
প্রায় ১ কিলোমিটার মানববন্ধনে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন বলেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবিলম্বে ডোমারের কৃতি সন্তান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে আমাদের নয়নমনি ও উন্নয়নের কান্ডারি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তুহিন ভাইয়ের সব সাজা বাতিল করে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
আর যদি তুহিন ভাইকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে নীলফামারী জেলায় অবরোধসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, তুহিন ভাই আমাদের গর্ব। আওয়ামী সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে তুহিন ভাইয়ের সব মিথ্যা মামলা বাতিল করে তার মুক্তির দাবি জানান।
বক্তারা অবিলম্বে তুহিনের মুক্তির দাবি করে বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেক নেতার মামলা বাতিল হলেও তুহিন ভাইয়ের মামলা বাতিল করা হয়নি। তুহিন ভাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান তুহিন ভাইকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে তা বাতিল করতে হবে।
কেকে/এএস