সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম অনার্স কলেজের বহিষ্কৃত উপাধ্যক্ষ লুৎফর রহমান আবারও যোগদানের অপচেষ্টা করছে।
রোববার (৪ মে) সকালে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত উপাধ্যক্ষ কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে কলেজে যোগদানের চেষ্টা করলে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের তোপের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় কলেজে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ দিকে বহিষ্কৃত উপাধ্যক্ষ লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বর্তমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম অনার্স কলেজে ২০২০ সালে অবৈধ তদবিরের মাধ্যমে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন লুৎফর রহমান।
যোগদানের পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ আবু-বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে শুরু করেন অনিয়ম ও দুর্নীতির কার্যক্রম। বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে বিভিন্ন শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে বেতনের সঙ্গে তুলে নিতেন অতিরিক্ত অর্থ। নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ আগস্ট তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান উপাধ্যক্ষ লুৎফর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম মোকাম-বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, সিরাজগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মোকদ্দমা নম্বর স্পেশাল পিটিশন-০১/২০২৫। বর্তমানে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।
যোগদানের অপচেষ্টার বিষয়ে অপসারিত উপাধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আজকে আমি কলেজে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু কলেজের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে আমি চলে আসি। এ ব্যাপারে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি মোবাইল ফোনে অবগত হয়েছি। আমি কলেজের কাজে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এসেছি। বহিষ্কৃত উপাধ্যক্ষ লুৎফর রহমান আজকে কলেজে যোগদানের অপচেষ্টা চালালে, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের তোপের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
কোর্টে মামলা চলমান অবস্থায় কীভাবে সে কলেজে যোগদানের অপচেষ্টা করে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। কলেজের এডহক কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে, শিক্ষকদের পদোন্নতির নামে টাকা আত্মসাৎ, উপবৃত্তির ফরম বিতরণের টাকা আত্মসাৎ। এবং ভর্তি, কেন্দ্র ফ্রি , ফরম পূরণসহ বিভিন্ন টাকা আত্মসাৎ ও ফেরত দেওয়ার স্বার্থে প্রতি মাসে কলেজের তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন খাত থেকে টাকা আত্মসাতের কারণে কলেজের বৃহত্তর স্বার্থে আমি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি।
কেকে/এএস