যশোরের কেশবপুরে শাশুড়িকে মারপিটের অভিযোগ ও বিচারের দাবিতে জামাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে শাশুড়ি।
শুক্রবার (২ মে) বিকালে কেশবপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে শাশুড়ি তহমিনা বেগম বলেন, আমার বাড়ি সাতবাড়িয়া, আমার স্বামী জয়নাল আবেদীন বিদেশে থাকায় আমি কেশবপুর সাহাপাড়া, (জব্বার প্রফেসরের বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া) থাকি। পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ইং-২৮/০৪/২০২৫ তাং অনুমান সকালে আলতা পোল গ্রামের আলতাফ শেখ ও তার ছেলে আমার জামাতা শাওন শেখ (২৫) এবং তার ভাই সোহান শেখ (২৮) সাহাপাড়া গ্রামস্থ আমার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময়ে আমি প্রতিবাদ করলে শাওন আমার বাসায় থাকা ধারালো তরকারি কাটা বটি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার মাঝ বরাবর, নাকের উপরে, ডান হাতের আঙ্গুলে ও বাম হাতের কব্জির উপরে স্বজোরে কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং আলতাফ ও সোহান আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল, ঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে।
এ সময় আমার বাসার মধ্যে থাকা ওয়ার ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ড্রয়ারে রক্ষিত আমার স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো নগদ ১,৫০,০০০/- টাকা এবং গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১২ আনা ওজনের ১ জোড়া স্বর্নের কানের দুল জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। আমার ডাক চিৎকারে অন্যান্য ভাড়াটিয়া সহ আশপাশের লোকজন আমার বাসায় ছুটে আসলে তারা আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন আমাকে জখম প্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করে এবং বর্তমানে আমি উক্ত হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। আমি আংশিক সুস্থ্য হয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিনগদের সহিত পরামর্শ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কেকে/ এমএস