অটোরিকশা চালক ও সংবাদপত্র বিক্রেতা আনিসুর রহমান ঠান্ডার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় মানবন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে গানাসাস মার্কেটের সামনে কিশামত ফলিয়া এলাকাবাসীর আয়োজনে মানবন্ধন ও সড়ক অবরোধ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে বেলা ১১টা থেকে আধা ঘণ্টাব্যাপী ডিবি রোডের ট্রাফিক মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে গাইবান্ধা সদর থানার কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান তালুকদার ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক লাভলু মিয়া ও এলাকাবাসীর পক্ষে আবদুল ওহাব, রাজা মিয়া, আবদুল খালেক, জাহাঙ্গীর আলম, নিহত আনিস মিয়ার স্ত্রী কবিতা বেগম, নিহতের বোন হেনা বেগম, নিহতের ছেলে প্রান্ত মিয়া, নিহতের চাচা রিজু মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আনিসকে হত্যা করে অটোবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ আসামি গ্রেফতারে গড়িমশি করছে।
তারা আরো বলেন, তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনিস হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে। গত কয়েক মাসে অসংখ্য খুনের ঘটনা ঘটেছে। চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে সদর থানার এক কর্মকর্তা বলেন, আসামিদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আনিস হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত ফলিয়া গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান ঠান্ডা (৩৭)। তিনি প্রায় ১৮ বছর ধরে গাইবান্ধা শহরে সংবাদপত্র ফেরি করে বিক্রি করেন। পত্রিকা বিক্রির পর প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি অটোবাইক চালান।
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত দুর্বৃত্ত যাত্রী সেজে জেলা স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা বলে তার অটোবাইকে ওঠে। সেখানে যাওয়ার পর ওইসব দুর্বৃত্তরা আনিসকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর অটোবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নিহত আনিস মিয়ার স্ত্রী কবিতা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
কেকে/এএস