জামায়াত ইসলামের নেতাদের (কাদের মোল্লা-নিজামী) ফাঁসি হবার পিছনে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সম্মতি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, জামায়াত ইসলামের নেতাদের ফাঁসি হবার পেছনে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সম্মতি ছিলো! প্রথম সারির কয়েকজন নেতা মারা গেলে নিজেদের পদ পাকাপোক্ত হবে, এরকম পরিকল্পনা থেকে নেতাদের হত্যাকান্ড ঠেকাতে শক্ত কোন আন্দোলন করতে দেয়নি তারা৷ যাদের মধ্যে অন্যতম ভারতীয় এজেন্ট আবু তাহের৷ যিনি ৫ আগস্টের আগেও আওয়ামিলীগের পরামর্শে জামায়াতকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলো৷ যদিও তার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জামায়াত, বিশেষ করে শিবির আন্দোলন চালিয়ে যায়৷
শিবিরের সক্ষমতা প্রসঙ্গে ইলিয়াস হোসেন বলেন, তাহেরপন্থী নেতাদের কারনে জামায়াতের দেশপ্রেমিক নেতাদের ফাঁসির রায় হবার পরেও শিবির চুড়ান্ত কোন আন্দোলনে যাবার অনুমুতি পায়নি৷ দেখে মনে হয়েছে, নেতাদের হত্যা যেন জামায়াত সহজভাবেই মেনে নিয়েছিলো, যা দেশের মানুষকে অবাক করে৷ অথচ বড় আন্দোলন করার সক্ষমতা শিবিরের ছিলো যেটা তারা জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে প্রমাণ করেছে৷
তিনি বলেন, জামায়াতের শীর্ষ আরেকজন নেতা এটিএম আজাহারকে জেল থেকে বের করা হচ্ছে না জামায়াতের ওই একই অংশের কারণে৷ জামায়াতের আরেকজন ফাঁসির আসামী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ৫ তারিখের পর দেশে ফেরার পরেও এই পর্যন্ত জামায়াতের কেন্দ্র থেকে কেউ তার সাথে সাক্ষাৎ করেননি৷
মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, এসব কিছুর কারন একটাই তাহলো জামায়াতকে কট্টর ভারতবিরোধী অবস্থান থেকে সরিয়ে আনা৷ কট্টর ভারত বিরোধী হবার কারনেই কথিত যুদ্ধাপরাধে বিচারের নামে দলের চিহ্নিত ভারতবিরোধী নেতাদেরকে হত্যা করা হয়৷ এমনকি ৭১'এ জামায়াত না করেও আমৃত্যু সাজা নিয়ে জেলে মরতে হয়েছে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে৷ কিন্তু সব ক্ষেত্রেই জামায়াত কার্যত দর্শকের ভুমিকা পালন করেছে৷
জামায়াতের ক্ষমতায় আসা ও বিভক্ত নিয়ে ইলিয়াস হোসেন বলেন, নিজেদের নেতাদের কুরবানী দিয়ে জামায়াতের কয়েকজন নেতা স্বপ্ন দেখছে ভারত তাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে অথবা স্বপ্ন দেখছে জামায়াতকে বিভক্ত করতে৷ ওইসব নেতারা জামায়াতকে ক্ষমতায় বসাবে নাকি বিভক্ত করে জামায়াতকে ধ্বংস করবে সেটা সময় বলে দিবে৷
'এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনায় জামায়াত এবং শিবিরের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভেদ দেখা গিয়েছে যা গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছেছে! জামায়াতের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনই দেখা যায়নি৷'
কেকে/এআর