কলেজ ছাত্র অপূর্ব বিশ্বাস। পড়া-লেখার পাশাপাশি কৃষি কাজেও মনোযোগী হয়ে ওঠেছেন। তাই বাড়ির পাশে অনাবদি জমিতে চাষ করেছেন সুর্যমূখী ফুলের। জমিতে সারি সারি সূর্য্যমূখী গাছে ঢালার মতো বড় বড় ফুলগুলো চেয়ে আছে সূর্যের দিকে।
সফল উদ্যাক্তা অপূর্ব বিশ্বাস ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দরগাহ গট্টি গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, লেখা পড়ার অবসর সময়ে অপূর্ব বিশ্বাস প্রতি সিজনে পাট ও পেঁয়াজ চাষ করে থাকেন। কৃষি পণ্য চাষাবাদের পাশাপাশি গত বছর বাড়ির পাশে ১৩ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছিলেন সুর্য্যমূখী ফুলের। গত বছর এই চাষে সফল হন অপূর্ব। এবছরও সুর্য্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি।
কলেজ ছাত্র অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, সূর্যমুখী চাষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পূরণ হয়ে থাকে তেলের চাহিদা। সেই লক্ষে আমি নিজ উদ্যোগে গত বছরের মতো এবছরও ৪শ থেকে ৫শ ফুলের চারা রোপন করেছি। তারপর লেখাপড়ার অবসর সময়ে চারাগুলোর পরিচর্যা করেছি। বর্তমানে সুর্যমূখী ফুল অনেক সুন্দর হয়েছে৷ কয়েকদিন পরেই তেলের জন্য উপযোগি হবে। এই চাষ অনেক লাভজনক চাষ। আগামীতেও বেশি করে ফুলের চাষ করবো ভাবছি।
অপূর্ব আরো বলেন, বাড়ির পাশে যেসব জমি খালি পড়ে আছে, সেসব জমিতে সুর্যমূখী চাষ করলে সুন্দর হবে। সবাইকে অনাবাদি জমিগুলোতে ফুল চাষের আহবান করছি।
সালথা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, ভোজ্যতেলের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্জনের লক্ষে সরিষা, পাম্প ও তিল আবাদ যেভাবে প্রয়োজন, ঠিক সেভাবেই সূর্যমূখীর আবাদও প্রয়োজন। তরুন যুবক অপূর্ব বিশ্বাসের মতো অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। হয়তো আগামী দুই বছরের মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্য্যমূখী চাষ শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে চাষিদের পাশে থেকে তাদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হবে।
কেকে/এআর