ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হবিগঞ্জে কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দ আত্মসাৎ, তদন্তে দুদক

তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ
🕐 ২:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০১, ২০২৪

হবিগঞ্জে কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দ আত্মসাৎ, তদন্তে দুদক

কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ আত্মসাৎ করার অভিযোগে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীসহ সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২১ মার্চ হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলামের আদালতে দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার আসামীরা হলেন, লাখাই উপজেলার ৪নং বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুখ, মঞ্জব আলীর পুত্র আজাদ হোসেন মনির মিয়া (৪০), মৃত কবির মিয়ার পুত্র জুলহাস মিয়া (৪৮), মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র রফিক মিয়া (৮৭), সাজু মিয়ার স্ত্রী আছমা আক্তার (৪০) এবং লাখাই উপজেলার সাবেক প্রকল্প বায়স্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নুর।
বিচারক মো. হাসানুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্ত করে আগামী ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদীর আইজীবি গুলজার খান জানান, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় লাখাই উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৫৯৪ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেন লাখাইয়ের সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নুর। বাকি ইউনিয়নগুলোর মতই বামৈ ইউনিয়নে কোন কাজ না করে ভুয়া মাস্টার রোল জমা দিয়ে দুইটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ১২০ মেট্টিক টন চাল (যার বাজার মূল্য আটচল্লিশ লাখ) টাকা উত্তোলন করেছেন প্রকল্প সভাপতি বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুখ।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইকবাল মিয়া দৈনিক খোলা কাগজকে জানান, ভুয়া মাস্টার রোল জমা দিয়ে কোন কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্প সভাপতি বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুখ। প্রকল্পটি মূলত কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা)। কোন শ্রমিক কাজ করে খাদ্য গ্রহণ করেছেন এ রকম কোন প্রমাণাদি কেউ দেখাতে পারবে না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রকল্প সভাপতি বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুখের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক খোলা কাগজকে জানান, আমি একা করিনি বাকি ৩ ইউনিয়েনের চেয়ারম্যানরা একই রকম করেছেন কিন্তু মামলা শুধু আমার উপর দায়ের করা হয়েছে।

লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি শুনেছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী পরিবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 
Electronic Paper