১ বছরের সাজা এড়াতে ৮ বছর মাজারে, অবশেষে গ্রেপ্তার
আব্দুর রাজ্জাক রাজু, চুনারুঘাট
🕐 ৪:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩

মাদক মামলায় ২০১৫ সালে এক বছরের সাজা পেয়েছিলেন খোকন (৪৫)। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে বিভিন্ন মাজারে ফকিরের বেশে ঘুরে বেড়াতেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
দীর্ঘ ৮ বছর পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল হকের নেতৃত্বে এএসআই সুবীর চন্দ্র দেবসহ একদল পুলিশ উপজেলার পৌর শহরের উত্তর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার খোকন মিয়া সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন রেলস্টেশন কলোনি টেকনিক্যাল রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম ওরফে নাঈম মিয়ার ছেলে।
আজ সকালে খোকনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, চুনারুঘাট থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতি রোধে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতে চেকপোস্ট ও পাহারা চলে। গভীর রাতে বাহিরের অপরিচিত লোকজন এলেই তাদের তথ্য যাচাই করে ছাড়া হয়। শুক্রবার রাত তিনটায় চুনারুঘাট পৌর শহরের চেকপোস্টে একটি ব্যাটারিচালিত টমটম থামানো হয়। ওই টমটমে মুড়াবন্দ মাজার থেকে খোকনসহ কয়েকজন চুনারুঘাট পৌর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় টমটমের যাত্রীদের পরিচয় জানতে চাইলে খোকনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হয়৷ পরে তার নাম ঠিকানা যাচাই করে জানা যায়, খোকন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে বিবাড়িয়া জেলার আখাউড়া এলাকায় মাদক পাচারকালে খোকনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে বিবাড়ীয়া আদালতে অভিযোগপত্র দিলে আদালত আসামি কোখনকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর খোকন মাজার ও আখরায় ভিক্ষুকের ছদ্মবেশ ধারণ করে ৮ বছর কাটিয়েছে। তিনি আর কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
