‘চলছে চোর পুলিশ খেলা’
এবার বিপাকে ব্যবসায়ীরা!
নিয়াজ মোরশেদ, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)
🕐 ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২০
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রতি জোর দিয়েছে সরকার। একারণে হাটবাজার, গ্রামগঞ্জের সব দোকানপাট বন্ধ রাখারা নির্দেশনা দিয়ে সকলকে ঘরে থাকার আহ্বান জনাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
এতে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে এখন বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবার ও ঈদ মৌসুমে র্গামেন্স ব্যবসায়ীরা। তারা না পারছে কোথাও লাইনে দাঁড়িয়ে সরকারের সহায়তা নিতে, না পারছেন জনপ্রতিনিধিকে বলতে ঘরে খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারই ঘরে ঢুকরে কাঁদছে কিন্তু খোঁজ রাখছেন না কেউ। আবার ঈদকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে দোকান খোলা রাখার সরকারের দেওয়া সিন্ধান্তের চার দিনের মাথায় ফের দোকানপাট বন্ধ রাখারা সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন চড়ম বিপাকে। এমনিই চিত্র জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
এদিকে, করোনার বিস্তার রোধে গত ১৪ মে জেলা চেম্বার অব কমার্স ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিত্বে প্রশাসন ১৫ মে থেকে পূর্ণরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দোকানপাট, শপিংমল রাখারা ঘোষণা দেয়। শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওই ঘোষণার পড়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার খুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। গত ১৬ মে ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যগত দিক মেনে সীমিত পরিসরে দোকান খোলার ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে স্বাখ্যাতও করেছেন তবে সেখানে কোন সারা ফেলেনি।
উপজেলা সদরের ষ্টেশন রোডের ২০-২৫ জন দোকান মালিক জানান, তারা গত ১০ থেকে সীমিত পরিসরে হাটবাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট শপিং মলগুলো খুলে সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের পড়ে আমরা সকাল ১০ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খুলছিলাম। এবং ঈদকে সামনে রেখে মহজনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বাকিতে মালামাল দোকানে উঠিয়েছিলাম। গত ১৫ মে ফের দোকান বন্ধের কারণে আমরা খুদ্র ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। কাস্টোমার দোকানের সামনে এসে ভীর করলেও তা বিক্রি করতে পারছি না। তার সীমিত পরিসরে ঈদ পর্যন্ত দোকান খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষর কাছে আহবান জানিয়েছেন।
উপজেলা সদরের পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, করোনার বিস্তার রোধে দোকানপাট বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এর পরেও আমার এলাকার দোকান মালিকের অনুরোধে দোকান মালিকদের নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে দেখা করেছিলাম সীমিত পরিসরে দোকান খোলা রাখার জন্য। কিন্তু উপজেলাবাসীকে করোনার থাবা থেকে রক্ষা করতে ইউএনও দোকান খোলা রাখার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত দেননি।
ইউএনও জাকিউল ইসলাম বলেন, সরকার কয়েকটি সর্তে দোকান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু দোকান মালিকেরা তার একটিও মানছিলেন না। আমি দেখেছি কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস্, জুতাসহ বিভিন্ন দোকানের ভেতরে গাদাগাদি করে লোকজনকে বসিয়ে কেনা-বেচা হচ্ছিল। এতে করোনার বিস্তার ভয়াবহ রুপ নিচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে জেলা চেম্বার অব কমার্স ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিত্বে প্রশাসন ১৫ মে থেকে পূনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দোকানপাট, শপিংমল রাখারা ঘোষণা দেয়।