ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্র্যাচ কার্ড লটারির নামে প্রতারণা, আটক ১০

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৩

ক্র্যাচ কার্ড লটারির নামে প্রতারণা, আটক ১০

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দুইশত টাকায় ক্র্যাচ কার্ডের (লটারি) মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেবার প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চক্রের মূল হোতাসহ ১০জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

রোববার (২৮ মে) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার ২০০ টাকাসহ ৬টি এলইডি মনিটর, ৬টি গ্যাসের চুলা, ১টি রাইচ কুকার, ৬টি ব্লেন্ডার, ৫টি স্পীকার, ৭টি স্কুল ব্যাগ ও ১৩০টি ক্র্যাচ কার্ড জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলো- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ও চক্রের মূল হোতা সোহাগ আলী (২৫), চক্রের সদস্য রানা হামিদ (২২), মিলন হোসেন (২৮), হাসান আলী (২৬), রাসেল রানা (২৪), জনি হোসেন (২২), শ্রী সুমন (৩৬), চারঘাট থানার লক্ষীপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (১৯), ডাকলা পাগলা পাড়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন শান্ত (২০) ও গার্ড পাড়া গ্রামের শাকিল হোসেন (২৭)। এছাড়াও দুইজন পলাতক রয়েছে। তারা হলো, ঢাকা গুলশানের খাইরুল ইসলাম (২৬) ও ঢাকা কোনাবাড়ি রেজাউল করিম (২৫)।

পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা সোহাগ আলী দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার গ্রাম অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেবার প্রলোভন দেখিয়ে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে (মাহিয়া ইলেকট্রনিক্স) নামক লটারির টিকিট বিক্রি করতো। গত রোববার রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার নৌবাড়ীয়া গ্রামে কয়েকজন ব্যক্তি লটারির টিকিট বিক্রি করছিলো। এমন তথ্যের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার ২০০ টাকাসহ ৬টি এলইডি মনিটর, ৬টি গ্যাসের চুলা, ১টি রাইচ কুকার, ৬টি ব্লেন্ডার, ৫টি স্পীকার, ৭টি স্কুল ব্যাগ ও ১৩০টি ক্র্যাচ কার্ড জব্দ করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে দুই শত টাকা দিয়ে লটারি কার্ডটি কিনতে হবে। তারপর লটারিতে থাকা স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষলেই পণ্যের নাম ভেসে উঠবে। এই পণ্যে নিতে লাগবে ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবেই চক্রটি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেবার প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে। পরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সটকে পরে এই প্রতারক চক্র।

তিনি বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 
Electronic Paper