সিরাজগঞ্জে বাড়ছে শিশু রোগী, মেঝেতেই চলছে চিকিৎসা
এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
🕐 ৯:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২১
ঋতু পরিবর্তন ও প্রচণ্ড গরমের কারণে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ¦র, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শত শত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।
বেডের থেকে রোগীর চাহিদা বেশি হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে এসব রোগীরা। গতকাল রোববার সরেজমিনে, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল, নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল আভিসিনা, মেডিনোভা, কমিউনিটি হাসপাতাল, মইন উদ্দিন হাসপাতাল, শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়ালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিভাগে শিশু রোগী ও স্বজনদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। বেড সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতেও রাখা হয়েছে রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন নতুন নতুন রোগীর চাপ সামলাতেও বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় শিশুর যতœ নিতে অভিভাবকদের আরও নজর ও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে শিশুর চিকিৎসা নিতে আসা মগরব আলী, নূর ইসলাম আবেদ আলী, ছালমা বেগমসহ অনেকে বলেন, পুরাতন ভবনের চতুর্থ তলার শিশু বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। বেডের থেকে রোগীর চাহিদা বেশি হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে এসব রোগীরা। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। আগের তুলনায় প্রায় তিনগুণ রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় অভিভাবকরা প্রতিদিন বেড ফাঁকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার অসহায় হয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই জায়গা করে থাকছেন।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স জোসনা খাতুন বলেন, আগের তুলনায় বর্তমানে রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে। ঋতু পরিবর্তনের জন্য এখন রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। আমরা নিয়মিত শিশুদের দেখভাল করছি।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডা. ফয়সাল আহমেদ ও শামিমুল ইসলাম বলেন, আগের থেকে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে, আগামীতে আরও বাড়তে পারে। ঠাণ্ডায় ছোট বাচ্চাদের গরম কাপড় পরিধান করাতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
শিশু বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুমনা লায়লা বলেন, শিশুদের মায়ের বুকের দুধ, তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে। যেসব বাচ্চা খেতে পারে তাদেরকে ভিটামিন যুক্ত খাবার দিতে হবে। এসি থেকে দূরে রাখতে হবে। ভয়ের কারণ নেই। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই রোগগুলোয় বেশিরভাগ আক্রান্ত হয় বৃদ্ধ ও শিশুরা। এছাড়াও নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।