ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাহাড়ে নতুন গুহা

আক্তার হোসেন (দীঘিনালা) খাগড়াছড়ি
🕐 ১:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০

অপরূপ সৌন্দর্য আর নয়নাভিরাম সবুজ পাহাড়ে আবিস্কৃত হলো নতুন তকবাক হাকর (বাদুড় গুহা)। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। দীঘিনালা উপজেলার আট মাইল নামক এলাকার রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়ায় মিলেছে এ বাদুড় গুহার সন্ধান। ত্রিপুরা ভাষায় বলা হয় (তকবাক হাকর) যা বাদুড় গুহা। তকবাক অর্থ বাদুড়, আর হাকর অর্থ গুহা।

দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে মেরুং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়ায় গুহাটির অবস্থান। গুহায় যাওয়ার পূর্বে পাহাড়ের ঝর্ণা বেয়ে পৌঁছে যেতে হবে ৪০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের তলদেশে। মজার ব্যাপার হলো বাদুড় গুহার প্রবেশ পথেই রয়েছে একটি ঝর্ণা। যার উচ্চতা ১০০ ফুটের ও বেশি। আর এ ঝর্ণার পাশ দিয়ে শক্ত দড়ি দিয়ে সর্তকতায় আস্তে আস্তে নিচে নেমে যেতে হবে। তারপর একটু সামনে হাঁটলেই পড়বে তকবাক হাকরের প্রবেশ মুখ।

সবুজ পাহাড়ের অরেণ্য লুকিয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আর এ পাহাড়গুলো অনেক দুর্গম এলাকা হওয়া মানুষের বিচরণ কম। পাহাড়ের সৌন্দর্য যা আজও মানুষের আজানা রয়েছে। সবুজ পাহাড়ের মাঝে রয়েছে মনোমুগ্ধকর ঝর্ণা, গুহা। যা পাহাড়ের পর্যটকের কাছে নতুন আর্কষণ।

গুহার ভিতরে প্রবেশ করলে মনে হবে কোনো মৃৎশিল্পীর আঁকা হাতের তৈরি কারুকাজ করা গুহার চারপাশ। উচ্চতা ৩৫ থেকে ৪০ ফুট ছাড়িয়ে যাবে, প্রশস্থ চার ফুট।

গুহার ভিতরে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন কোনো রাজার গুপ্ত অন্ধকার মহলের প্রবেশ পথ। বাদুড়ের উড়ে চলার কারণে কিছুটা গা শিহরে উঠবে। প্রথমে আতঙ্ক কাজ করলেও পরে বাঁশের তৈরি মশালে দেখা মিলবে বাদুড় গুহায় বাদুড় উড়ে চলছে অন্ধকারে। গুহার ভেতরে আগে কি ছিল তা আজও অজানা রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন এ গুহায় বৌদ্ধ-ভান্তেরা ধ্যান করতেন। কেউ বলছেন, দেবতা থাকতেন এ গুহায়। আবার স্থানীয়রা মনে করছেন এটি ব্রিটিশ শাষিত সরকারের বাংকার ছিল। তবে এর সঠিক তথ্য আজও অজানা রয়েছে মানুষের।

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাশেম জানান, রথীচন্দ্র কার্বরী পাড়ায় দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক গুহার সন্ধান পাওয়র বিষয়টি এলাকাবাসীর এবং দীঘিনালা উপজেলার জন্য আনন্দের। আমরা উপজেলা প্রশাসন এটিকে পর্যটন বান্ধব এবং নান্দনিক সাজে সাজাতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা উপজেলা মাইনি নদীর উপর আন্তর্জাতিক মানের এলিভেটর ড্রাম নির্মাণের পাশাপাশি, তৈদুছড়া ঝর্ণা এবং নতুন আবিস্কৃত গুহাকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper