ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আরও কমল রপ্তানি আয়, সুখবর পাটে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এই আয় সাত দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে আসায় রপ্তানিতে এ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে সাত দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুবোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, একক মাস হিসেবে নভেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, কিন্তু টার্গেট ছিল ৩৭২ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ টার্গেটের তুলনায় নভেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর গত বছরের নভেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার। ফলে একক মাস হিসেবে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বরে) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮০৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু আয় হয়েছে এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম।

অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয়ে পোশাকের অবদান প্রায় ৮৩ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্য পণ্যগুলোকে রপ্তানির উপ-খাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৫ শতাংশে দাঁড়াবে। তাই তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমলে তার প্রভাব পড়ে পুরো রপ্তানি খাতে।

তৈরি পোশাক খাতের মালিকরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে পোশাকের চাহিদা কম। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না করা ও অবকাঠামোগত সমস্যা, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে রপ্তানি আয় নিম্নমুখী। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে এক হাজার ৩০৮ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। এই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও কমেছে সাত দশমিক ৭৪ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের বড় খাতগুলোতেও রপ্তানি আয় কমেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয় প্রবৃদ্ধি কমেছে। পাঁচ মাসে চামড়াজাত খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম। প্রবৃদ্ধিও কমেছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দুই দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। পাঁচ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে চার কোটি ৮৮ লাখ ডলার।

তবে একই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা সুখবর এসেছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।

 
Electronic Paper