ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাণিজ্য মেলায় স্টলে স্টলে পন্যমূল্য ছাড়

মাহবুব আলম প্রিয়, রূপগঞ্জ
🕐 ৫:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২২

বাণিজ্য মেলায় স্টলে স্টলে পন্যমূল্য ছাড়

পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর। এ আসর জমাতে মেলার অভ্যন্তরের প্রায় সব স্টলের পন্যে দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। কেউ ২০ ভাগ কেউবা ১০ ভাগ। আবার সরকারি ছুটির দিনে দর্শনার্থী বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহনে ভোগান্তি কমাতে বাড়ানো হয়েছে বিআরটিসি বাস। এমনটাই জানালেন মেলা কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, ব্যবসায়ীরা তাদের পন্যে আকর্ষনীয় ছাড় দেয়ার ঘোষণার পর থেকে জমে ওঠেছে মেলা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলায় ১৯তম দিন বুধবারও ছিলো পর্যাপ্ত দর্শনার্থী। আর অধিক দর্শনার্থীদের গণপরিবহনে রাজধানী থেকে লোকদের জন্য বাড়ানো হয়েছে বিআরটিসি দোতলা বাস। যাত্রীপ্রতি মাত্র ৩০ টাকায় কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গনে যাতায়াত করছেন দর্শনার্থীরা। মেলা অঞ্চলে নিয়োজিত বিআরটিসি বাস মনিটরিং কর্মকর্তা রাকিব হাসান মিন্টু বলেন, মেলাকে ঘিরে আশপাশের অন্যন্য পরিবহন যেমন সিএনজি, অটোরিকশায় ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া সরকারী ছুটির প্রচুর দর্শনার্থী হয় মেলায়। তাদের যাতায়াত ভোগান্তি কমাতে ১২০ টি বাস রাখা হয়েছে। এসব বাসের মাঝে প্রয়োজন মতো কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গন পর্যন্ত চলাচল করছে। ফলে রাজধানী থেকে আসা লোকজনের যাতায়াত ভোগান্তি নেই।

মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মধুখালীর বাসিন্দা জামান মিয়া বলেন, মেলায় এ পর্যন্ত ৫ দিন এলাম। এতোদিন ব্যবসায়ীরা তাদের পন্যমুল্যে ছাড় না দেয়ায় দর্শনার্থী কিছুটা কম ছিলো। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ঘুরতে আসছেন। ফলে মেলায় শেষ সময়টা জমে ওঠেছে।

রঘুরামপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ মালুম বলেন, এবার বাড়ির পাশে মেলা হওয়ায় গ্রামের লোকজন বেশি কেনাকাটা করছেন এ মেলা থেকে। প্রথমে মেলার পন্যে ছাড় না দেয়ায় কিছুটা সঙ্কিত ছিলেন নিন্মআয়ের লোকজন। এখন স্টলে স্টলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কেনাকাটা আগের তুলনায় বেশি বলে দাবী করছেন ব্যবসায়ীরা।

পিতলগঞ্জের বাসিন্দা আরিফ খান জয় বলেন, সড়কের চলাচলরত সব ধরনের যানবাহনে ও সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া আদায় করছে দ্বিগুন থেকে ৩ গুন। এর মাঝে বিআরটিসি বাস বাড়িয়ে দেয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন দর্শনার্থীরা।

অপর দর্শনার্থী গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডলি আক্তার বলেন, মেলায় বেশ কিছু স্টলেই দেখলাম ছাড় ঘোষণা করেছে। এখন গরীবদের জন্য ক্রয় করতে সুবিধা থাকবে।

বিদেশী শীতের কাপড়ের স্টল দেখলাম। এসব স্টলের কাপড়গুলোর মাঝে কাশমিরি শাল, আদর, জ্যাকেট, কার্টিগ্যান ও শিশুদের জামা কাপড় ব্যতিক্রম। যা সাধারন বাজারে পাওয়া যায় না। তাই অনেকের মতো আমিও একাধিক বস্ত্র কিনেছি।

মেলা ঘুরে আরো দেখা যায়, প্রবেশ পথের পূর্বপাশে রয়েছে স্যুট, ব্লেজার ও পাজামার স্টল। শীতে পুরুষদের ব্লেজার ব্যবহার বেড়ে যায়। আর তাই মেলার ব্লেজারের স্টলে একদরে কিনছেন ক্রেতারা। একই মেলার উত্তরপাশে থাকা একাধিক স্টলে শোভা পাচ্ছে দেশীয় শীতের কাপড়। অন্যসব স্টলের তুলনায় ভীর এখন শীতের কাপড়ের স্টলে।

সলিমউদ্দিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মালূম বলেন, মেলায় প্রচুর দর্শনার্থী হয়। তারা ভীর ঠেলে পন্য ক্রয় করছেন। এদের বেশিরভাগই শীতের কাপড়ের স্টলে ভীর করছেন। ছাড় দেয়ার সাধারন ক্রেতারা খুশি।

যমুনা ইলেকট্রনিক পন্যের স্টলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, যুমনার পন্যের বাইকে ২০ ভাগ ছাড়সহ সব পন্যে আকর্ষণীয় ছাড় রয়েছে। ফলে বিক্রি বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি।

 
Electronic Paper