ঘোষণার পরও উল্টো সুদহার
অথনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১২:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
ব্যাংকের আমানতে ৬ ও ঋণে হবে ৯ শতাংশ সুদহার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এমনই ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকরা। কিন্তু কমেনি সুদহার উল্টো বেড়েছে।
এ নিয়ে গত দেড় বছর ধরে চলছে নানা আলোচনা। ব্যাংকগুলো এটি বাস্তাবায়নে সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছে। কিন্তু কাজরে কাজ কিছুই হয়নি। এখনও ১০ শতাংশের ওপরে ঋণের সুদ আদায় করছে বেশিরভাগ ব্যাংক। ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৪ শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে রাখার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংকই তা মানছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাস শেষে ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের বেশি আদায় করছে। আর ২৯টি ব্যাংকের স্প্রেড ৪ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে রয়েছে।
আক্টোবর শেষে ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। অনেক ব্যাংক এখনও স্প্রেড নিচ্ছে ৮ শতাংশের ওপরে। তারল্য ব্যবস্থাপনার ওপর বাড়তি চাপকে কেন্দ্র করে সুদহার বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ৩০ মে এক নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। তাই সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করতে ভোক্তা ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে স্প্রেড ৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। আগে যা ৫ শতাংশ ছিল।