ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

মোঃ মহিউদ্দিন সুমন, পটুয়াখালী
🕐 ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ৪২টি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি নিজাম উদ্দিন নামের একজন শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে থেকে জানা গেছে, এমপিও সংক্রান্ত কার্যক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের প্রত্যয়ণপত্র প্রয়োজন হয়। বাউফল উপজেলার অধিকাংশ মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার রয়েছে। তবুও বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নাজমুল হক প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে প্রত্যয়ণপত্র দিয়েছেন । এতে বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানসমূহ ঘুষ প্রদান পূর্বক প্রত্যয়ণপত্র গ্রহণ করেন। এছাড়া এমপিও ছাড়পত্র ও উচ্চতর গ্রেড ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিচ্ছেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিযোগে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল আটকে রাখেন। ঘুষ টাকা ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কোন ফাইল পাঠায় না বাউফল উপজেলার এই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তিনি কোন মাদ্রাসার সুপার না। অভিযোগে তার মোবাইল নম্বরও নাই। যখনই আমি মাদ্রাসা পরিদর্শনে যাই তখনই তারা কৌশলে বেনামে এরকম মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেন। তাছাড়া যে ৪২ টি মাদ্রাসার তালিকা দিয়েছে সেই সব মাদ্রাসার সুপার কারই স্বাক্ষর নাই। খোঁজ নিয়ে দেখেছি তারা এই অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-আমিন বলেন- আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি, যাদের কাছে অভিযোগ করেছেন তারা তদন্ত করে দেখবেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাঃ মজিবুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখবো। অভিযোগের সত্যতা পাইলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

 
Electronic Paper