মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫,
২৯ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল বাংলাদেশ      এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস      সোমবারের উল্লেখযোগ্য সংবাদ      ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম      জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট      ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছি, ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি       এবার ‘শাপলা’ প্রতীক চাইল বাংলাদেশ কংগ্রেস      
দেশজুড়ে
দুই উপজেলার মেলবন্ধন এক বাঁশের সাঁকো
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: রোববার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৭:১৪ পিএম
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর ওপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা দুই উপজেলার ১৭ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো এলাকাবাসীর। তবে গত ৪-৫ বছর ধরে এই বাঁশের সাঁকো নির্মিত হওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে হলেও দ্রুত নদী পারাপার করতে পারছে তারা।

সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিতাস নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মিত হলে বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। বিশেষ করে নবীনগর উপজেলার অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবে।

উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের চরলোহনিয়া ওয়াই সেতুর নিচ থেকে তিতাস নদীর একটি শাখা কলাকান্দি, পূর্বহাটি, ফরদাবাদ, পিঁপড়িয়াকান্দা, দুবাচাইল, বাজে বিশারা, ভিটিবিশারা, গোকুলনগরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে ইমামনগর পর্যন্ত প্রবাহিত। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকা চলাচল করত। কিন্তু নৌকায় পাড় হতে সময় লাগার পাশাপাশি ঝুঁকিও ছিল অনেক।

অবশেষে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো ব্যবহার করে দুই উপজেলার মানুষ প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরসহ ঢাকা, কুমিল্লা, মুরাদনগর ও নবীনগরে যাতায়াত করছে। তবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বর্ষাকালে চলাচল আরো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।

সাঁকোটি ব্যবহার করে নবীনগর উপজেলার রতনপুর, শ্রীকাইল, ভিটিবিশারা, বাজে বিশারা, শাগদা, পেন্নাই, চন্দ্রনাইল, দুবাচাইল, সাহাপুর, সাতমোড়া, মোল্লা ও ভাউচাইল গ্রামের মানুষ কড়িকান্দি ফেরি পাড় হয়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে।

অন্যদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইমামনগর, দরিকান্দি, গোকুলনগর, খাল্লা ও ফরদাবাদ গ্রামের মানুষ নবীনগরসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয়দের মতে, তিতাস নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। এতে নবীনগরের অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। 

এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তাদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হবে।

কেকে/এএম





মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল বাংলাদেশ
এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস
অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্প মোকাবেলায় সাহস ও সচেতনতা জরুরি
রোনালদোয় মুগ্ধ এমবাপে
চলে গেলেন কালাচাঁদ মিয়া, মির্জা ফখরুলের শোক

সর্বাধিক পঠিত

আমিরাতে ‘প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ’ শুরু ৭ নভেম্বর
জালিয়াতি মামলায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
এবার ‘শাপলা’ প্রতীক চাইল বাংলাদেশ কংগ্রেস
সোনারগাঁয়ে রেস্টুরেন্টে ভোক্তা অধিকারে জরিমানা
জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close