সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুরের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আফজাল হোসেন ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা। তারই জ্যেষ্ঠ সন্তান সেলিম রেজা তার পিতার মতোই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হলেও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও তার পুত্র প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের একচ্ছত্র আধিপত্যের মসনদটি ভেঙে দিতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কাজিপুর উপজেলা সভাপতি মো. সেলিম রেজা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুঃশাসনে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম, বারবার হামলা মামলার শিকার হয়েও তিনি কখনো প্রতিশোধ পরায়ন না হয়ে ছুটে চলেছেন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। আপসহীন থেকে কাজিপুরবাসীর পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন, ধৈর্য ধরতে বলেছেন। বিগত ১৭ বছর শত নির্যাতন-অত্যাচার সহ্য করেও শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হননি তিনি।
বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে তাকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তার বাড়িঘর ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখতেন। কাজিপুর এই আসনটি ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। আগে একই সীমারেখার মধ্যে ছিল। কিন্তু নদী ভাঙনের কারণে ৬টি ইউনিয়ন এবং আরও ৪টি ইউনিয়নের অংশ বিশেষ চর এলাকায় অবস্থিত। প্রায় প্রতিদিন চর এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন গিয়ে গণসংযোগ করছেন এই নেতা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
৫ আগস্ট পট পরিবর্তনে পর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ঘোষণার পর নির্দেশক্রমে তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছুটে চলেছেন এবং সব শ্রেণির-পেশা ও গরিব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে চলেছেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন, কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
কাজিপুরবাসীর আওয়ামী লীগের আসনামলে নির্যাতিত, নিপীড়িত কর্মীদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে সেলিম রেজার প্রতি। কাজিপুরবাসী মনে করে সেলিম রেজা দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আধুনিক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও বৈষম্যহীন কাজিপুর উপহার দিতে পারবেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। পিতার মতোই তিনিও জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে রেকর্ডসংখ্যক ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন বলে বিশ্বাস করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কাজিপুরবাসী মনে করে কেন্দ্র থেকে তাকেই মনোনয়ন দেবে এই নেতাকে।
কেকে/ এমএস