বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: জোটের রাজনীতিতে পিছিয়ে বিএনপি      ব্যবসায়ীদের দাপটে দর্শক সরকার       আন্দোলনরত শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা      রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসিকে তফসিল দেওয়ার আহ্বান নাহিদের      খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা      অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা      প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে      
জাতীয়
আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস
ময়নুল ইসলাম মুসা
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৬ এএম আপডেট: ১৪.১২.২০২৪ ১২:১৫ এএম
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।

১৪ ডিসেম্বর ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’। প্রতিবছর এ দিনটিকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এদেশের প্রায় সকল প্রথম শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এ কাজে পাকিস্তানি সেনাদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর সদস্যরা।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী মিলে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার নিমিত্তে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা যায়। অনেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনদের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

১৯৭১ সালে বছরব্যাপী পাকিস্তান সেনাবাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। পরিকল্পিতভাবে সবচেয়ে বেশীসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বরে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বোরচিত এ হত্যাকান্ডকে স্বরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এই দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ঘোষণা করেন।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মান করেন স্থপতি মোস্তফা হালি কুদ্দুস।

পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ঢাকার রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নামে জামী-আল সাফী ও ফরিদউদ্দিন আহমেদের নকশা করা আরেকটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়, যা ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি স্মারক ডাকটিকিটের ধারাবাহিক প্রকাশ করেছে।

কেকে/এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  বুদ্ধিজীবী দিবস   ১৪ ডিসেম্বর   পাকিস্তানি হানাদার  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

জোটের রাজনীতিতে পিছিয়ে বিএনপি
ব্যবসায়ীদের দাপটে দর্শক সরকার
হামজা-শমিতদের ম্যাচ থেকে ৪ কোটির বেশি আয় বাফুফের
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২

সর্বাধিক পঠিত

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে প্রার্থনা সভা
ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান
সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরসি'র আত্মপ্রকাশ
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
বিএনপি নেতার পুকুরে বিষপ্রয়োগ

জাতীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close