সিরিয়ায় সংগীতের শিক্ষক ছিলেন মুনা ৷সিরিয়ার সদ্য দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ২০১২ সালে গ্রেফতার হন তিনি ৷ এরপর দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিলেন। একসময় তিনি পালিয়ে বেঁচেছেন। তার ইন্টারভিউ করেন ডয়চে ভেলের ইউলিয়া হান৷
সেই ইন্টারভিউতে মুনা জানান, বাশার আল আসাদের সময়ে হাজারো হাজারো নারী কারাগারে বন্দী ছিলেন। রাতের আধাঁরে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হতো। তিনি শুনেছেন বাশার একজন কামুক ও নারীলিপ্সু ছিলেন। কিন্তু নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন না।
তিনি কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন ‘‘আমার মাথা একটি প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে বাধা ছিল৷ এরপর উলটো করে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিল,''
২০১২ সালে গ্রেফতার হন তিনি৷ জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হলেও সেনা গোয়েন্দারা পরে আবার তাঁকে গ্রেফতার করেন৷ তাঁকে দামেস্কে নিয়ে আসা হয়৷ সিরিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের যেই সেলটি তাঁকে গ্রেফতার করেছে, সেই সেলকে ‘ব্রাঞ্চ অফ হেল' বা ‘নরকের শাখা' বলে ডাকা হয়৷ যে লোকটি তাঁকে অত্যাচার করছিলেন, একদিন তিনি মুনাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমার হৃৎপিণ্ড কোথায়?'' মুনার ভাষায়, ‘‘আমি আঙুল দিয়ে দেখাতেই, সেখানে আঘাত করা হলো''। সূত্র ডয়েচে ভেলে ।
মুনা বলেন , বাশারের হৃৎপিণ্ড ছিল না। থাকলে এতো নির্দয় হওয়ার কথা না।
মুনা আরও বলেন, ‘‘একদিন তারা এক ষোড়শী তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন৷ আমরা তাঁর চিৎকার শুনছিলাম৷ মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো মেয়েটিকে মেরে ফেলছে৷'' অনেক নারীকে ধর্ষণ করা হয়৷ অপরাধ স্বীকার না করলে তাঁকেও ধর্ষণ করার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে জানান মুনা।
কত নারী সিরিয়ার কারাগারগুলোতে অন্তরীণ আছেন, তা নিশ্চিত নন তিনি তবে সেখানকার নাগরিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন, এমন একটি এনজিও'র কর্ণধার ফাদেল আবদুল ঘানির মতে, সাত হাজারেরও বেশি নারীকে বন্দী করা হয়েছে৷
কেকে/এআর