যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকার গোলাঘাটা-বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কের প্রবেশ মুখ গোলাঘাটা মোড়ের মিনি ব্রিজটির আংশিক ধসে যাওয়ায় গত দুই সপ্তাহ ধরে সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত ১ নভেম্বর সকালে বালিবাহী ট্রাক পারাপারেরর সময় এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীসহ হাজারও পথচারী ও পণ্যবাহী যানবাহনের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ তাদের জরুরী কাজ মেটাতে গোলাঘাটা-বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কটি যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকেই কেশবপুর পৌরসভার বাজিতপুর, সরফাবাদ গ্রাম ও উপজেলার মির্জাপুর, মজিদপুর, মঙ্গলকোট, বাউশলা, হিজেলডাঙ্গাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে এ সড়ক দিয়ে কেশবপুর শহরে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি মানুষের পথ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হলেও গত ১ নভেম্বর সকালে বালিবাহী ট্রাক পারাপারের সময় সড়কটির প্রবেশ মুখ গোলাঘাটা মোড়ের মিনি ব্রিজটি ধসে যাওয়ায় গত দুই সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাক গেছে, গোলাঘাটার-বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কটির প্রবেশ মুখে প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মিত এ ব্রিজটি কয়েক বছর আগেই পরিত্যক্ত হয়ে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আজও ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। এরপরও ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলতে থাকে পথচারীসহ ছোট বড় যানবাহন। গত ১ নভেম্বর সকালে কুষ্টিয়া থেকে উপজেলার গোলাঘাটা বাজারের দিকে যাওয়ার সময় একটি বালুভর্তি ট্রাক সড়কটির প্রবেশ মুখ গোলাঘাটা মোড়ের মিনি ব্রিজটি পারাপারের সময় ব্রিজটির একটি অংশ ধসে ট্রাকটি আটকে যায়। এরপর থেকে বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ । এরপর থেকে গত ২সপ্তাহ সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এর ফলে, মালবাহী ভ্যান, মটরসাইকেল, ভ্যানগাড়িসহ কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
পৌর এলাকার সরফাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, ‘গত ১ নভেম্বর সকালে কুষ্টিয়া থেকে উপজেলার গোলাঘাটা বাজারের দিকে যাওয়ার সময় একটি বালু ভর্তি ট্রাক পারাপারের সময় ওই ব্রিজটি ধসে ট্রাকটি আটকে যায়। এরপর থেকে সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এর ফলে মালবাহী ভ্যান, মটরসাইকেল, ভ্যানগাড়িসহ কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না এ সড়ক দিয়ে।’
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আলী হায়দার বলেন, ‘ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। পাস হলেই ব্রিজটি দ্রুত পুনঃনির্মাণ করা হবে। এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে দুই পাশে ঝুকিপূর্ণ ব্রিজের সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে।’
কেকে/এমএ