মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে রায় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পুরনো অভ্যাস অনুযায়ী আবারও নাশকতার ছক আঁকছে নিষিদ্ধ কার্যক্রম ঘোষিত আ.লীগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা জেলার ৫ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, কেরানীগঞ্জ ও দোহা জুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে এলাকাগুলোতে চলছে টানা টহল, বাড়ানো হয়েছে হাইওয়ে নজরদারি, বসানো হয়েছে অতিরিক্ত চেকপোস্ট, এবং রাতে-দিনে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ, র্যাব ও ডিবি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, দেশের জনগণ যখন বহু প্রতীক্ষিত ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে, তখনই এ অপশক্তি পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর।
পুলিশ জানায়, ‘রক্ত ঝরানো অপশক্তি নিষিদ্ধ কার্যক্রম ঘোষিত আ.লীগের নাশকতার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। জনগণের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তাদের কঠোরতম আইনি পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু এলাকায় গোপনে সমাবেশ, উস্কানি ও হামলার চেষ্টা হতে পারে যা ঠেকাতে সাদা পোশাকের টিম বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। শিল্পাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামীণ রাস্তাঘাট সব জায়গাতেই রয়েছে জাল বিছানো করা নজরদারি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে ন্যায়বিচারের দিন হিসেবে স্থান পাবে। এ বিচারকে বানচাল করতে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে এলে তার বিরুদ্ধে মাঠেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতির দাবিতে নিরাপত্তা আরও কঠোর ও সর্বাত্মক করা হতে পারে।
কেকে/বি