কাপাসিয়া উপজেলায় মেসার্স দীন ফিলিং স্টেশনে ভেজাল তেল বিক্রি ও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মিনিবাস ও মোটরসাইকেল চালকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্টেশনটিতে অকটেন ও পেট্রোলের সঙ্গে নিম্নমানের অন্য পদার্থ মিশিয়ে বিক্রি করছে। এতে গ্রাহকরা যানবাহনের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়া, মাইলেজ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত খরচের মতো সমস্যায় পড়ছেন।
গত কয়েক মাসে একাধিক মোটরসাইকেল চালক জানায়, দিন ফিলিং স্টেশন থেকে জ্বালানি নেওয়ার পর তাদের বাইকে হঠাৎ নকিং, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং স্পার্ক প্লাগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্দেহের বশে তারা অন্য জায়গা থেকে জ্বালানি কিনে ব্যবহার করলে সমস্যার সমাধান হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসনের একটি দল ২০২৪ সালের ২৯ মে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মেসার্স দীন ফিলিং স্টেশন, মেসার্স নেমো ফিলিং স্টেশন ও মেসার্স মেহেরুন নেসা ফিলিং স্টেশনকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। বড় ধরনের অভিযোগ ও ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় মেসার্স দীন ফিলিং স্টেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এবং বাকী ২টিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, দীন ফিলিং স্টেশনটি ভাড়ায় পরিচালিত হচ্ছে এবং মালিকপক্ষ নিয়মিত তদারকি করে ভাড়াটিয়াকে নিয়ম মেনে ফিলিং স্টেশন পরিচালনার নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে বর্তমান ভাড়াটিয়া মো.সেলিম রায়হান তালুকদার তা মানছেন না। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার জ্বালানির মান ও ওজনে কম দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। এলাকাবাসী ও যানবাহনের চালকরা পুনরায় অভিযান চালিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
দীন ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সেলিম রায়হান অভিযোগ অস্বীকার করেন। মালিক পক্ষ বলেন, আমি ফিলিং স্টেশনটি ভাড়া দিয়েছি, অনিয়ম হলে প্রশাসন দেখবে।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানায়, দোষ প্রমাণিত হলে স্টেশনটির লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ২৯ মে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০০৮ এর ২৯ ধারা দীন ফিলিং স্টেশনে ভেজাল তেল বিক্রি ও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে ১ লাখ ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন স্হানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
কেকে/বি