সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চারটি ছবি ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘এটা ফিলিস্তিন নয়, নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি মসজিদে বিএনপি ও জামায়াতের দ্বীনি ভাইদের ইবাদতের প্রতিচ্ছবি। এটাই আমাদের নতুন বাংলাদেশ।’
ছবিগুলোতে মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর, ভেঙে পড়া আসবাবপত্র এবং দেয়ালে ধ্বংসের চিহ্ন দেখা যায়। অনেকেই এগুলোকে নোয়াখালীর সাম্প্রতিক সংঘর্ষের দৃশ্য বলে প্রচার করছেন। তবে ছবিগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা গেছে, এদের সঙ্গে নোয়াখালীর ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৮ অক্টোবর নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার জামে মসজিদের সামনে যুবদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে চারটি পুরোনো ছবি।
এই ছবিগুলোর উৎস খতিয়ে দেখা গেছে—
প্রথম ছবি: ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর ডয়েচে ভেলে প্রকাশ করে। ছবিটি আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলার পরের দৃশ্য। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হন।
দ্বিতীয় ছবি: ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশ করে। এটি নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদের গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনার।
তৃতীয় ছবি: ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তর-এ প্রকাশিত হয়। এটি একই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত আরও একটি ছবি।
চতুর্থ ছবি: দৈনিক ইত্তেফাক ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করে। এটিও নারায়ণগঞ্জের সেই বিস্ফোরণের ভেতরের দৃশ্য।
নোয়াখালীর সংঘর্ষে কাশেমবাজার জামে মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রচারিত ছবিগুলোর সঙ্গে এর মিল নেই। ফলে প্রমাণিত হচ্ছে, বিভ্রান্তি ছড়াতে পুরোনো ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
সুতরাং, নোয়াখালীতে সংঘর্ষের নামে ছড়ানো ছবিগুলো আসলে আফগানিস্তান ও নারায়ণগঞ্জের পুরোনো ঘটনার।
কেকে/ আরআই