বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এর ওপর নির্ভর করছে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ। গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। গণতন্ত্রই একমাত্র গণতন্ত্রের বিকল্প ও পরিপূরক।’
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও রুহিয়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভায় মির্জা আলমগীর বলেন, ‘সামনে সতর্কতার সাথে পা ফেলতে হবে আমাদের। রাজনৈতিক ভুল করার কারণে ফ্যাস্টিটদের কবলে পড়া যাবে না। দেশের জনগণ ও আমরাও আর ফ্যাস্টিট দেখতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘দানবীয় দুঃশাসনের পরে আমরা ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল পার করছি। গত ১৫ বছর একটি ফ্যাসিস্ট দল বাংলাদেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি— সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। সেই দলের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার। যারা এ গণঅভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
নির্বাচন ও ভিন্নমত নিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের সাথে যারা ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের লড়াই করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করছেন। এটা তারা করতেই পারেন। তার জন্যে সেটাকে লক্ষ্য করে, সেটাকে কেন্দ্র করে আবার রাস্তায় আন্দোলন করা— এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, যে দাবিগুলো তারা করছে, তা নির্বাচিত পার্লামেন্টে পূরণ করা সম্ভব।’
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় সংস্কারের পক্ষে। অথচ প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, বিএনপি নাকি সংস্কারের বিরোধী। এটা একেবারেই ভুল ধারণা। বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন।’
বিএনপি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার মভাপতি মির্জা ফয়সল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএ