কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দুই শিক্ষার্থীর নামে চুরির মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন এনামুল হক ও সাদ্দাম হোসেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন—জাইদুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, জাকির হোসেন, হাসিনা খাতুন ও ছক্কু মিয়া। তারা বলেন, বাড়ি চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটকে রাখে বাড়ির মালিক সুরুত আলী। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় আনেন পুলিশ। কিন্তু পাঁচজনের মধ্যে এনামুল ও সাদ্দাম নামের দুই শিক্ষার্থীকে নির্দোষ বলে মুক্তির দাবি জানান তারা।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা পূর্ব পাড়া গ্রামের সুরুত আলী নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে একদল চোর ঢুকে পড়ে। এ সময় লকার ভেঙে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এতে আগুনে পুড়ে মারা যায় একটি গরু ও দুটি ছাগল। এছাড়াও আরও একটি গরুর শরীর অর্ধেক পুড়ে যায়। পরে সোমবার সকালে জড়িত সন্দেহে নাতিসহ পাঁচজনকে ডেকে এনে আটকে রাখেন ভুক্তভোগি সুরুত আলী। এ সময় পুলিশকে খবর দেন তিনি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- নাতি সুরুজ আলী, আব্দুল আলিম, শাকিল আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন ও এনামুল হক।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মালিক জানান, বাড়িতে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় তার নাতি সুরুজ আলীসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় সংবাদ দেন ভুক্তভোগী সুরুত আলী। এসময় তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে সুরুত আলী বাদি হয়ে তার নাতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/ আরআই