ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী চিন্তা, দক্ষতা ও গবেষণার সামর্থ্যে ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন-৯ এর ফাইনাল রাউন্ডে নির্বাচিত ৭টি ইনোভেশন প্রজেক্টের মধ্যে নিটারের দুইটি দল জায়গা করে নিয়েছে, যা নিটারের জন্য এক গৌরবময় অর্জন।
সম্প্রতি টেক্সটাইল টুডে’র অফিসে অনুষ্ঠিত ভাইভা ভোস পর্বে পূর্ব-নির্বাচিত ১২টি দলের মধ্যে থেকে নিটারের দুইটি দল নির্বাচিত হয়।
দল দুটির সদস্যরা হলেন—আকুলানন্দ সরকার অন্তর (১১তম ব্যাচ), এম এ রাফি (১৪তম ব্যাচ) ও সালেহীন বাঁধন (১১তম ব্যাচ), মো. ইমতিয়াজ ইমাম (১১তম ব্যাচ)।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট সিজন-৯ এর ‘দ্য কম্পিটিশন ডে’তে দেশের ২৫টি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০০+ শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ১০০ জন ফিউচার ইনোভেশন মাস্টারমাইন্ড নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে এই ১০০ জনকে নিয়ে ২১টি উদ্ভাবনী প্রজেক্ট তৈরি করা হয়। সেখান থেকে ১২টি প্রজেক্ট ভাইভা ভোসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।
নিটারের আকুলানন্দ ও রাফির দল প্রি-কনজিউমার ওয়েস্ট থেকে শতভাগ কটন ফ্যাব্রিক উৎপাদনের পাশাপাশি চাইনিজ ও ইউরোপিয়ান ক্রাশিং সিস্টেম ব্যবহারে উৎপাদিত ফ্যাব্রিকের গুণগত বিশ্লেষণ তুলে ধরে। অন্যদিকে, বাঁধন ও ইমতিয়াজের দল কটন ফ্যাব্রিক ডাইং প্রক্রিয়ায় (আরএফটি) পারফরম্যান্স উন্নয়নে অপ্টিমাইজড ডাইং মেথড ও নিখুঁত ওয়াটার ক্যালিব্রেশনের কার্যকর প্রয়োগ উপস্থাপন করেন।
টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা, যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব শিল্পপ্রেক্ষাপটে প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সুযোগ পান। নির্বাচিতরা টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব এর তত্ত্বাবধানে অংশীদার কারখানায় গবেষণা ও প্রজেক্ট বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করেন।
এই সাফল্য নিটারের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, নিষ্ঠা ও টেক্সটাইল খাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নিটার-এর এই অর্জন দেশের টেক্সটাইল খাতে তাদের উদ্ভাবনী অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে।
কেকে/ আরআই