গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৭ দিকে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুর বাজারসংলগ্ন একটি অবৈধ পেট্রোল পাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এছাড়া অভিযানে অংশ নেন সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মোহাম্মদ ইশরাক উদ্দিন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. সালাউদ্দিন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মার্কেটিং বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম।
অভিযান চলাকালে পেট্রোল পাম্পটির কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের কোনো বৈধ অনুমোদন বা লাইসেন্স নেই। পরে তেলের মান পরীক্ষায় নিম্নমানের তেল পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নমুনা সংগ্রহ করেন এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময় পাম্প মালিকের ভাই ও স্থানীয় যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক তেলের নমুনা সংগ্রহে বাধা দেন এবং উপস্থিত জনতাকে উসকে দেন। তার প্ররোচনায় কিছু লোক ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে একটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় এবং আরেকটি গাড়িতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সমন্বয় করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন।
পরে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে কিছু নথি, মালামাল ও নগদ অর্থ জব্দ করেন এবং যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফারুককে গ্রেফতার করেন।
ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কেকে/ এমএস