বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের সীতাকুণ্ড অংশে জাহাজের প্রপেলারের আঘাতে মারা গেছে প্রায় ১০০ কেজি ওজনের একটি ডলফিন।
শান্ত স্বভাবের, বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন স্তন্যপায়ী এই জলজ প্রাণীটি বুধবার সন্ধ্যায় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, গত সোমবার বিকেল বেলা সমুদ্রের পানির সাথে পর্যটন এলাকায় ভেসে এসে সৈকতে থাকা দোকানগুলোর পেছনে পড়ে থাকে ডলফিনটি। পরে সৈকত এলাকায় ব্যবসায়ীরা এক পাশে টেনে নিয়ে যায়। ডলফিনটির ওজন হবে প্রায় ১০০ কেজির মতো। কিন্তু ডলফিনটি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় শরীর থেকে অনেকটা আলাদা হয়ে যায় নাড়ি-ভুঁড়ি, যার কারণে পঁচে যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কল্লোল বড়ুয়া জানান, সমুদ্রে জাহাজের প্রপেলার বা কোন কিছুর সাথে আঘাত পেয়ে ডলফিনটি মারা যেতে পারে। এটা মিঠা পানির শুশুক বা ডলফিন। ডলফিনটি কিভাবে মারা গিয়েছে তা জানার জন্য তার শরীর থেকে স্যাম্পল কালেকশন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ডলফিনটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোতাছিম বিল্লাহ্ বলেন, এটি শুশুক বা ডলফিন হিসেবে পরিচিত। শান্ত স্বভাবের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণী। বাংলাদেশে এখন এটি বিপন্ন প্রাণী হিসেবে পরিচিত। আঞ্চলিক ভাষায় হুম মাছ নামে পরিচিত হলেও প্রাণীটি আসলে ‘গাঙ্গেয় শুশুক, মিঠা পানির শুশুক বা ডলফিন’। কোনো নদীতে ডলফিন থাকা মানে নদীর স্বাস্থ্য বা পরিবেশ ভালো থাকা। বাংলাদেশে এখন এটি বিপন্ন প্রাণী হিসেবে পরিচিত।
কেকে/ আরআই