‘আল্লাহ আমার একমাত্র সন্তানের প্রাণ ভিক্ষা দাও, আমার বুকের মানিককে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও। আমি আর কিছু চায় না।’ এমন আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী সাড়া ইউনিয়নের ক্যানেল পাড়া এলাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে পদ্মার তীরবর্তী সাড়া ইউনিয়নের ক্যানেল পাড়া এলাকায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এভাবেই আর্তনাদ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন গুলিবিদ্ধ নিজামের মা ফাহিমা খাতুন ও গুলিবিদ্ধ সজিবের দাদী রিজিয়া বেগমসহ কয়েকজন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) উপজেলার সাড়াঘাটের ক্যানেলপাড়া এলাকায় পদ্মার নৌ-চ্যানেলের খাজনা আদায়ের দ্বন্দ্বে ইজারাদার ও এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসানের লোকজনের ওপর অন সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী খান্দকার সোহেল গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত গুলি বর্ষণ করেন। এতে স্থানীয় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মহাখালীর বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হঠাৎ এমন গোলাগুলির ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে দাড়িয়ে চোখের পানি ফেলে অঝোরে কেঁদে কেঁদে বিলোপ করছিলেন গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের পরিবার ও স্বজনরা।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শুনছি পদ্মা নদীর অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ রয়েছে, যারা বালুমহল দখলে নিতে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে নৌ-পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। বর্তমানে নদী এলাকায় আমাদের টহল টিম রয়েছে। আশা করছি, এ ধরনের আর কোন ঘটনা ঘটবে না।’
কেকে/ এমএ