মিসরে ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যুদ্ধের অবসান ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। খবর : আল জাজিরা।
একই সঙ্গে, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জিম্মি মুক্তির শেষ ধাপের মধ্যেই উপত্যকা থেকে চূড়ান্তভাবে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন হামাস কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মিসরের শারম আল শেখ শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো পরোক্ষ আলোচনায় বসে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা।
এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিরা। বুধবার (৮ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আলোচনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
মিশরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল-কাহেরা নিউজের মতে, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, হামাস ‘এক সেকেন্ডের জন্যও দখলদারিত্বের ওপর আস্থা রাখে না’।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগের দুটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে এবং পুনরায় শুরু হবে না- হামাস এর ‘প্রকৃত গ্যারান্টি’ চায়।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিম্মিমুক্তির পর ‘ইসরায়েল গাজায় পুনরায় হামলা করবে না’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথায় তেমন কোনো ইঙ্গিত বা নিশ্চয়তার আভাস মেলেনি। তিনি ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণের বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। যাতে, হামাসই গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল বলে উল্লেখ করেন এবং গত দুই বছরের সংঘাতকে ‘ইসরায়েলের অস্তিত্ব এবং ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার দিকে সরাসরি ইঙ্গিত না করেই নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ‘সিদ্ধান্তের এক দুর্ভাগ্যজনক দিনে’ প্রবেশ করছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে- সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং গাজা যাতে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা’।
কেকে/এআর