ঢাকার সাভারে মহাসড়কে ছিনতাই, ডাকাতি, চোরাচালান, মাদকদ্রব্য পাচার ও যানজট নিরসন প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মালিক, চালক, যাত্রী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন।
সভায় সালেহ আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় চলাচল নিশ্চিত করা শুধু পুলিশের একার দায়িত্ব নয়, এ কাজে জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি চালক, যাত্রী ও পথচারীকে আইন মেনে চলতে হবে এবং নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। পুলিশ সর্বদা জনগণের সেবায় নিয়োজিত, মহাসড়কে যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে আমরা সদা সতর্ক অবস্থানে আছি।’
‘ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকদ্রব্য পাচার কিংবা চোরাচালান— এসব অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণেরও ভূমিকা থাকতে হবে। কেউ যদি অপরাধীদের আশ্রয় বা প্রশ্রয় না দেয় এবং সবাই যদি আইন মেনে চলে, তাহলে মহাসড়ক হবে আরও নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত। বিশেষ করে দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; কেউ নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরিফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা ছাড়া মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা বা অপরাধ দমন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে জনগণই হলো মূল শক্তি। পুলিশ একা চাইলেও সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। তাই আমাদের সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। সন্দেহজনক কোনো কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। সবাই মিলে কাজ করলে আমরা একটি নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও অপরাধমুক্ত মহাসড়ক গড়ে তুলতে পারব।’
‘মহাসড়ক শুধু চলাচলের পথ নয়, এটি দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনরেখা— এ পথ নিরাপদ রাখতে সবার ঐক্য, সহযোগিতা ও সচেতনতা এখন সময়ের দাবি।’
অন্য বক্তারা বলেন, ‘মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। পুলিশ একা চাইলেও অপরাধ দমন বা দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব নয়— জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতাই পারে মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন এসআই আনজিল আহমেদ, সাভার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের মাদবর, বিএনপি কর্মী মো. খায়রুজ্জামান, মো. ইব্রাহিম, মো. লিটন মিয়া, গণমাধ্যমকর্মী মিজানুর রহমান।
কেকে/ এমএ