আগামী নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর দাবিতে রংপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর জেলা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।
পদযাত্রায় তিস্তা পাড়ের মানুষ ছাড়াও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, “নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় লাগাতার কর্মসূচি চলবে।”
একই দাবিতে আগামী ৯ অক্টোবর বিভিন্ন উপজেলায় গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর মশাল মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
পদযাত্রায় অংশ নিয়ে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘তিস্তার ভাঙ্গন, প্লাবনে নিঃস্ব হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। আবাদী জমি নদীর কবলে গিয়ে মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু না হলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা ২ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। এটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে মাঠে থাকবে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী।’
আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, ‘তিস্তার ভাঙন প্লাবনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নি:স্ব হচ্ছে উত্তরের দুই কোটি মানুষ। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্যাটেলাইট টাউন, শিল্প কলকারখানা ও আবাদী জমি রক্ষা পাবে। ফলে উত্তরাঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। একই সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে টানা ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এবারে ৩ দিনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের সময়ে এবং নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ দৃশ্যমান না হলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ