কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও সবুজ আন্দোলনের জেলা কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার জেলা শহরের শফিক সেন্টারে ঢাকা ফ্যামিলি হেলথ্ কেয়ার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মো. ইমরান খানের সঞ্চালনা ও অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি আব্দুল্লাহ শাহীন। সভা শেষে কক্সবাজার জেলায় নবগঠিত সবুজ আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, আজকে দুটি স্লোগান আপনাদেরকে বলবো। একটি হলো, 'রোহিঙ্গা হটাও, কক্সবাজার বাঁচাও।' অন্য স্লোগানটি হচ্ছে, 'আমেরিকা হটাও, সেন্টমার্টিন বাঁচাও।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজ কারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তারাই হয়েছেন যারা বিভিন্ন এনজিওর সাথে সম্পৃক্ত। তারা জনবিচ্ছিন্ন। তাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। এনজিওগুলো বিদেশ থেকে টাকা নিয়ে আসে। পরে বেশিরভাগ টাকা পকেটে রাখে। সবুজ আন্দোলন এখন পর্যন্ত সাত বছর পার করেছে। আমরা কারো পকেট থেকে টাকা নিয়ে সংগঠন করি না। আমি বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিব। কিন্তু কার কাছে দিব। নির্বাচিত সরকার নাই। যারা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন তাদের কোন দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না। গণঅভ্যুত্থান এই কারণে হয়নি। সবুজ আন্দোলনের কেউ উপদেষ্টা হতে চায় না। আমরা জনগণের কাতারে থাকতে চাই।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে পরিকল্পিত হোটেল মোটেল গড়তে হবে৷ অপরিকল্পিত হোটেল মোটেলগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কক্সবাজার পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে হবে৷ যত্রতত্র রাস্তা, ফুটপাত দখল করে রাখা হকার উচ্ছেদ করে তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান নির্বাচন করতে হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কারণে বন ধ্বংস হয়েছে৷ কক্সবাজারের বনভূমি রক্ষা করতে হবে। প্যারাবন রক্ষা করতে হবে৷ পাহাড় কর্তন ও নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। কক্সবাজারে পরিকল্পিত সবুজায়ন করতে হবে। জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়। জনগণকে সাথে নিয়ে পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে হবে বলেও তিনি জানান।
কেকে/এআর