শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে পূজা উদযাপন। এই পূজাকে কেন্দ্র করে দিনভর নওগাঁ-১ আসনের পরিদর্শন শেষে রাতে বিভিন্ন মণ্ডপ পাহারায় অংশ নিচ্ছেন নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম ও তার সহকর্মীরা।
দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পাহারার এই উদ্যোগে স্থানীয়দের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের এমন উদ্যোগে তারা বেজায় খুশি। আর নিজেদের আরো নিরাপদ ও স্বস্তি অনুভব করছেন। তার নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা শুধু রাজনৈতিক কার্যক্রমেই নয়, সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগেও অংশগ্রহণ করে আসছেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করছেন।
এ সময় নুরুল ইসলাম তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি মণ্ডপ পাহারা দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে মণ্ডপের এক পাশে বসে রয়েছেন বিএনপির এই নেতা। সেখানে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথোপকথন ও পূজা উদযাপন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন।
ভাটপাড়া বারোয়ারী পূজামণ্ডপের সভাপতি নয়ন বিশ্বাস বলেন, ‘মুসলমান হয়ে বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপ পাহারা দিচ্ছেন- এটা বিরল। প্রথম দিন এখানে এসে রাত ৩টা পর্যন্ত ছিলেন। আজও এখানে এসেছেন পূজামণ্ডপ পাহারা দেওয়ার জন্য। শুধু আমাদের এখানেই নয়, প্রতিদিন কোন না কোন পূজামণ্ডেপে গিয়ে তিনি পাহারা দিচ্ছেন নেত-কর্মীদের নিয়ে। এই উদ্যোগ স্থানীয়দের কাছে তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।’
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে যাতে কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আমরা স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পাহারার দায়িত্ব নিয়েছি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপনই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই চেতনা আমাদের সমাজে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতার বার্তা বহন করে। তাই, শান্তিপূর্ণভাবে সবাই যেন আনন্দের সঙ্গে দুর্গাপূজা পালন করতে পারে, সেটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। পূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমরা রাতভর মণ্ডপ পাহারায় রয়েছি।’
তিনি নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, পারস্পরিক সহাবস্থান বজায় রাখা ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন করার জন্য একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান।
কেকে/ এমএ