আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই না। দেশের মানুষ এসব পিআর-ফিআর বুঝে না। জনগন আগের নিয়মে ভোট চায়।আমরা পিআর পদ্ধতি প্রয়োজনে প্রতিহত করবো। মন্তব্য করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও যুক্তরাজ্য বিএনপি আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসের খান অপু।
৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা জনগণের কাছে তুলে ধরতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি পিআর পদ্ধতির কুফল তুলে ধরে বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে অযোগ্য লোক এমপি হবে, অস্থিতিশীল সরকার হবে, বাঞ্ছারামপুর নেতা রাজশাহীর এমপি হবে, এলাকার মানুষ তাদের পছন্দের নেতা পাবে না, অযোগ্য লোক টাকার বিনিময়ে এমপি হবে, দলীয় প্রধানের স্ত্রী, শালা, শালী, আত্মীয়-স্বজন এমপি হবে, দলীয় মতাদর্শের কারনে সংসদে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হবে, দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে, লাগাম টানলে সংসদ ভেংগে যাবে, অস্থিতিশীল সংসদের কারনে উন্নয়ন ব্যহত হবে এবং মব দিগুন হারে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ বাঞ্ছারামপুর আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। উপযুক্ত ও দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধি ছাড়া আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। আমি জনগণের সেবক হতে চাই, নেতা হতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রথম ব্যারিস্টার। অবহেলিত এই এলাকাকে একটি আদর্শ উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আমি আগামী নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার আদর্শ এবং সততাই মূল পুঁজি। সেটা নিয়েই আমি জনগণের আরও কাছে যেতে চাই। আমি কোনো নেতা নই, সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে সেবা দিয়ে যেতে চাই। আমার স্বপ্নই বাঞ্ছারামপুরকে বাংলাদেশের মডেল উপজেলা গড়ে তোলা।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনসংযোগের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মাঝে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি, অলিগলি, ডোর টু ডোর জনগণের কাছে দলীয় নেতা কর্মীরা জোরদার প্রচারনা মাধ্যমে ৩১ দফা তুলে ধরেন।
এদিকে, নির্বাচনী মাঠে প্রধান প্রধান দলগুলোর এমন সরব উপস্থিতি স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কেকে/বি