রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, টানা তৃতীয়বারের মতো পেছানো হয়েছে রাকসু নির্বাচন। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পোষ্য কোটা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মানে আবারও আগামী ১৬ অক্টোবরের আগে পোষ্য কোটার মতো একটা মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে এনে রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে। আর সেই তালে বাতাস দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ষড়যন্ত্র আর মেনে নেবেন না।
ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) বলেন, এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরেও তারা পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনতে চান। কতিপয় শিক্ষকেরা, যারা নির্দিষ্ট একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা ছাত্রসংগঠন রাকসু নির্বাচনে হেরে যাবে, এই ভয়ে তারা পোষ্য কোটা ইস্যু সামনে আনতে চান। তারা মূলত শিক্ষার্থীদের সার্বিক অধিকার, একাডেমিক কার্যক্রম, পড়াশোনার পরিবেশকে বাঁধাগ্রস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিনষ্ট করতে চান। তাদের আরেকটা এজেন্ডা হলো রাকসু নির্বাচন পেছানোর, অপরাজনীতি করে রাকসুকে বানচাল করা। এই ষড়যন্ত্র ৩৫ বছর ধরেই হয়ে আসছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা বলে দিতে চাই, সবকিছু মনে রাখা হবে।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে রাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আবদুর নূর বলেন, গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের টাকা প্রশাসনকে লিচুতলায় বসে থাকার জন্য দেওয়া হয় না। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার হরণ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে ক্লাসরুম-লাইব্রেরি খুলে দিয়ে শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দিন।
এর আগে, গত শনিবার পোষ্যকোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সালাউদ্দিন আম্মারকেও ধ্বস্তাধস্তি করতে দেখা যায়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্যকোটা) আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। এর জেরে পিছিয়ে গেছে রাকসু নির্বাচন। ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ভোটের নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে আগামী ১৬ অক্টোবর।
কেকে/ আরআই