নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে অবস্থিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাক্তার শূন্য।
নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, নেই অবকাঠামোগত সুবিধা। মাত্র দুইজন কর্মীএকজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও একজন মিডওয়াইফের ওপর ভর করে চলছে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাভাবিক প্রসব সেবা।
পরিদর্শিকা আখতার বানু জানান, এখানে নিয়মিত স্বাভাবিক প্রসব হয়। জটিল রোগীদের উপজেলা হাসপাতালে রেফার করতে হয়। ১০ মাস ধরে সরকারি কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই। গত আট মাসে এখানে ২১টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।
গ্লাভস, হেক্সোসল, ডেলিভারি কিট পর্যন্ত রোগীর স্বজনদের কিনে আনতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ ভবনে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি নষ্ট। ২য় তলার সব বেড গুটিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যবহারের অনুপযোগী কক্ষগুলো। ছাদের প্লাষ্ট খসে পড়ছে। আবাসিক ভবনটিও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় চার বছর ধরে কোনো অপারেশন হচ্ছে না।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হানুল হক জানান, ভবনটি পুনর্নির্মাণ ও সরকারি ওষুধ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। আশা করছি, শিগগিরই ওষুধ আসবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এক সময় প্রাণচঞ্চল এই সেবাকেন্দ্রটি এখন শুধু নামেই টিকে আছে। আগে যেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার জন্য মানুষ ভিড় করতেন, এখন তারা বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা উপজেলা হাসপাতালে চলে যাচ্ছে।
কেকে/বি