বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ      ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’      নির্বাচনে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী : ইসি সচিব      ৪৫তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, সুপারিশ পেলেন ৫৪৫ জন      বন বিভাগে সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দাম্ভিকতা      ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষি অর্থনীতি টেকসই হবে : কৃষি সচিব      ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা      
খেত খামার
মহেশপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ‘প্যাশন’
মো. আজাদ, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
মহেশপুরে চাষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ফিলিপাইনের জনপ্রিয় ফল প্যাশন বা ট্যাং। ছবি : প্রতিনিধি

মহেশপুরে চাষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ফিলিপাইনের জনপ্রিয় ফল প্যাশন বা ট্যাং। ছবি : প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের মহেশপুরে চাষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ফিলিপাইনের জনপ্রিয় ফল প্যাশন বা ট্যাং। তবে অঞ্চলভেদে এর ভিন্ন নামও আছে। অনেকে বলে আনারকলি আবার অনেকে বলে ট্যাং। দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি পরিচিত পারপেল গ্রানাডিলা নামে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম প্যাসিফ্লোরা ইডিউলাস। মিষ্টি স্বাদ ও উপকারিতার কারণে অনেক দেশেই ফলটি বেশ জনপ্রিয়।

তবে ঝিনাইদহ জেলার মাটিতে প্রথম এই ফলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের নুরুল হাসানের ছেলে তরুণ কৃষক মাহমুদুল হাসান স্টালিন।

জানা যায়, ৭ বছর আগে কৃষিকাজে জড়িয়ে পরেন স্টালিন। একে একে চাষ করতে থাকেন পেয়ারা, ড্রাগন, কমলা কুল, মাল্টা। ইউটিউবে দেখে আগ্রহ জাগে প্যাশন ফল চাষে। যশোর থেকে  ৫টি চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার আড়াই বিঘা প্যাশনসহ ২৫ বিঘা জমিতে পেয়ারা, ড্রাগন, কমলা, কুল, মাল্টা রয়েছে।  

মাহমুদুল হাসান স্টালিন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে প্যাশন ফল আমি চাষ শুরু করেছি। এটি একটি লাভজনক চাষ। অল্প খরচে কোনো সার, সেচ, কীটনাশক ছাড়াই জৈব সার দিয়ে এটি চাষ করা যায়। শুরুতে আমি ৫টি চারা দিয়ে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করি। বর্তমানে আড়াই বিঘা জমিতে প্যাশনসহ ২৫ বিঘা জমিতে ফলের চাষ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্যাশন গাছে বছরে দুবার ফল ধরে। প্রতি বিঘায় ১ লক্ষ ফল পাওয়া যায়। প্রতি পিচ ফল শুরুর দিকে ৫-৭ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে ১৫-২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফল বিক্রি কোন ঝামেলা নাই চিটাগাংয়ের ব্যবসায়ীরা  জমি থেকে এসে নিয়ে যাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ ফল গোলাকার বা ডিম্বাকার। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ হয়। তবে পরিণত অবস্থায় হলুদ বা গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন। হাঁপানি ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এই ফল বিশেষ উপকারী।

স্থানীয চাষি হালিম বলেন, এই ফলটি আমার ৭০ বছর বয়সে কখনো দেখিনি ষ্টালিন প্রথম আমাদের মাঠে চাষ করে। এই ফল কোথায় বিক্রি করবে কারা খাবে এটা ভাবতো কিন্তু এখন দেখছি ফল বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। জমি থেকে ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

সোহেল নামের আরেক চাষি বলেন, অল্প খরচে এই ফল চাষ করা যায় এবং দামেও বিক্রি করা যায়। সেজন্য আমি এই ফল চাষ করবো ভেবে স্টালিনের কাছে পরামর্শ নিচ্ছি।

এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা ইয়াসমিন বলেন, ফলটি বিদেশি। কেউ এই ফল চাষে আগ্রহী হলে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করব।

কেকে/ এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ
তরুণ, যুব ও মেধাবী ছাত্র সমাজকে রক্ষায় সুস্থ সংস্কৃতি জরুরি: রায়হান সিরাজী
৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’

সর্বাধিক পঠিত

নাগেশ্বরীতে ১০ টাকার স্বাস্থ্য সেবা চালু
চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা রয়েছে: তানভীর হুদা
দুই ট্রলারসহ সেন্টমার্টিনে ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১২.৫ ডিগ্রি
গাজীপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

খেত খামার- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close