নওগাঁয় হতদরিদ্র মানুষদের নিয়মিত পুষ্টির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম বারের মতো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন কার্ডধারীর মাঝে ১৫ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি করে এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর রাণীনগরের মাস্টারপাড়ার একটি পয়েন্টে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারানা আফরিন।
এই চালে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, বি১২, ফলিক এসিড, আয়রন ও জিংক রয়েছে। দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পুষ্টি পূরণে সরকার এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ চাল বিনামূল্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের দু:স্থ ও অসহায় মানুষের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ চাল
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বছরের ছয় মাস এই চাল বিতরণ করা হবে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই চাল পেয়ে উপকৃত হচ্ছে হতদরিদ্ররা। প্রতি মাসে এই চাল বিতরণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে সুবিধাভোগীরা।
মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১৬টি পয়েন্টে নতুন করে এই চাল বিতরণ কার্যক্রম একযোগে শুরু করা হয়েছে। উপজেলার ৮ হাজার ৪৩৩ জন সুবিধাভোগী এই পুষ্টিকর চাল পাচ্ছেন। প্রকৃত হতদরিদ্ররা যেন এই পুষ্টিকর চাল পান, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলার ৬৪ জন ব্যক্তির কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, ২২৩টি কার্ডধারীর বিরুদ্ধে চাল নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তদন্ত চলছে।’
মো. রাকিবুল হাসান বলেন ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে চাল বিতরণের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলায় যেন কোন স্বচ্ছল ব্যক্তি তথ্য গোপন রেখে এই সুবিধা নিতে না পারেন, সেই লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য বিভাগ একযোগে কাজ করছে। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মাঝে এই চাল পৌছে দিতে প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’
কেকে/ এমএ